ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পাকিস্তানকে সহজেই উড়িয়ে দিল ভারত 

প্রকাশিত : ১২:০৪ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:৪২ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের খেলা দেখার জন্য ক্রিকেটানুরাগীরা ছিল উদগ্রীব। কিন্তু তাদের সে আশায় গুঁড়েবালি। পাক-ভারত মহারণ হলো বড্ড একপেশে। যেখানে জয়ী দলের নাম ভারত। চিরশত্রু পাকিস্তানকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো রোহিত বাহিনী। গতকালই হংকংকে ২৬ রানে হারিয়েছে তারা।    

গেল বছর এপ্রিলে ইংল্যান্ডে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে পাকিস্তান। এরপর প্রথম মুখোমুখিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের উড়িয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল ভারত।

টার্গেটটা ছিল খুবই ছোট, ১৬৩। সেই লক্ষ্যে উল্কার গতিতে ছুটে ভারত। শুভসূচনা এনে দেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ঝড় তোলেন রোহিত। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ধাওয়ান। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। শাদাব খানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত। ফেরার আগে ৩৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক। এর আগে ৮৬ রানের জুটি গড়েন তারা। এতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া।

সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ধাওয়ান। রোহিত শর্মার পথ অনুসরণ করেন তিনি। ফাহিম আশরাফের বলে বাবর আজমের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে পথ ধরেন বাঁহাতি ওপেনার (৪৬)। ততক্ষণে জয় হাতছোঁয়া দূরত্বে। বাকি কাজটুকু সারেন আম্বাতি রাইডু ও দীনেশ কার্তিক।

বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তবে তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে পারেননি দুই ওপেনার ফখর-ইমাম। স্কোরবোর্ডে ৩ রান উঠতেই ফিরে যান তারা। দুজনকেই শিকার বানান ভুবনেশ্বর কুমার।

তৃতীয় উইকেটে শোয়েব মালিককে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেন বাবর আজম। দুর্দান্ত জুটি গড়ে তুলেছিলেন তারা। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল পাকিস্তান। কিন্তু বাবর-মালিক ফিরে গেলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তারা।

কুলদ্বীপ যাদবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর (৪৭)। অবস্থা আরও খারাপ হয় ব্যক্তিগত ৪৩ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়ে মালিক ফিরলে। মাঝে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সরফরাজ-আসিফ। এরপর মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট হারায় পাকিস্তান।

শেষদিকে ক্রিজে থাকতে প্রাণপণে লড়াই করেন ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ আমির। ব্যক্তিগত ২১ রানে বুমরাহর শিকার হয়ে ফাহিম ফিরলে তাদের লড়াইও থামে। ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন আমির।

এসি