খাঁটি মুক্তা চেনার সহজ উপায়
প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার
মুক্তা এমন একটি রত্ন, জ্যোতিষশাস্ত্র মতে ধারণ করতে পারলে যা জাতক-জাতিকার ভাগ্য বদলে দিতে পারে। আবার অলঙ্কার হিসেবেও যুগ যুগ ধরে মুক্তার ব্যবহার হয়ে আসছে। ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে মুক্তা পরলে বিশেষ উপকার মেলে। অশুভ চন্দ্রকে বশে এনে শুভর প্রভাব জোরদারে এটি বিশেষ কার্যকরী। দাম্পত্য অস্থিরতা, মানসিক অশান্তি, ক্ষয় রোগের উপশম, আর্থিক অসচ্ছলতা-ইত্যাদির জন্য মুক্তা পরলে উপকার পাওয়া যায়। সাধারণত কর্কট রাশির জাতক-জাতিকার জন্য এ পাথর বিশেষভাবে কার্যকর। তবে মাথায় রাখতে হবে, যে কোনও রত্নই তিন মাস পর থেকে ফল দেয়। উপরত্ন ফল দেয় ছয় মাস পরে। এবার জেনে নেওয়া যাক খাঁটি মুক্তা চেনার উপায়-
খাঁটি মুক্তাকে কাঠের ওপর ফেললে ধাতব শব্দ হয়। আয়ুবের্দিক শোধনের জন্য মুক্তাকে জয়ন্তী পাতার রস মিশ্রিত পানিতে চব্বিশ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
ঝিনুকের পেটে মুক্তা জন্মায়। তবে সব ঝিনুকে মুক্তা থাকে না। প্রাণীবিজ্ঞানীদের মতে, মাসেল্ শ্রেণির ঝিনুকের পেটে মুক্তা হয়। এর রাসায়নিক উপাদান হল কনকায়োলিন ক্যালসাইট এবং ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। খাওয়ার সময় ঝিনুক যখন খোলা ফাঁক করে, তখন যদি বালির কণা বা অন্য কোনও কঠিন পদার্থের চূর্ণ তার দেহের মধ্যে খোলার ফাঁক দিয়ে ঢুকে যায় এবং চেষ্টা সত্ত্বেও সেটি বেরিয়ে না যায়, তখন এই কণাটির জন্য ঝিনুকের দেহে প্রদাহ বা জ্বলনের সৃষ্টি হয়। তখন ঝিনুকের অঙ্গ থেকে সাদা ঘন আঠালো রস ক্ষরিত হয়ে বহিরাগত কণাটিকে বেষ্টন করে স্তরে স্তরে জমাট বাঁধতে থাকে। এই জমাটি বস্তুকেই মুক্তা বলে।
পারস্য উপসাগরে ঝিনুক থেকে যে মুক্তা জন্মায় তাকে বসরাই মুক্তা বলে। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তা। এর দামও অনেক বেশি। মায়ানমারে ইরাবতী নদীতে ঝিনুক থেকে যে মুক্তা পাওয়া যায় তাকে বার্মিজ মুক্তা বলে। এটিরও বেশ দাম। তবে তা বসরাই মুক্তার চেয়ে সস্তা।
এ ছাড়া চিন সাগর ও জাপানে মুক্তার চাষ হয়। এই চীনা ও জাপানি মুক্তার গুণ সামান্য। ফলে দামও অনেকটাই কম। চন্দ্রের প্রতিকারে শ্বেত মুক্তা খুবই কার্যকরী।
সূত্র: জিনিউজ
একে//