ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

সরকারি কলেজে বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি

প্রকাশিত : ০৪:৫২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৪:৫৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা নিয়োগের তারিখ হতে তাদের চাকরি জাতীয়করণসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করছে ‘সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারি ইউনিয়ন’।

আজ শনিবার ঢাকা কলেজে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি দুলাল সরদার বলেন, সারা দেশে সরকারি কলেজগুলোতে প্রায় ১২ হাজার কর্মচারী কাজ করছে। এরা বিগত ১৫-২০ বছর ধরে বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

বর্তমানে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্ব গতির কারণে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি ৮৫০০ টাকা, ওভারটাইমসহ তাদের আয় ২০ হাজার টাকার ওপরে। সেখানে মাসিক বেতন হিসেবে আমরা পাই ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। এছাড়া কোনো ওভারটাইমও নেই। এই টাকা দিয়ে বর্তমান বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন,আমরা বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করার পরেও কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাইনি। প্রতিটি সরকারি কলেজে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সরকারি কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও সেখানে আছে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। গত ১৫/২০ বছর যাবত চাকরিতে আমাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। তাই কোনো উপায় না দেখে বেঁচে থাকার তাগিদে আমরা আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও জানান, আমাদের দাবি আদায়ে আগামী ২৫ তারিখ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আমাদের সংগঠনের ৫ সমস্যের একটি প্রতিনিধি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর বরাবর পৌছে দেবেন। এর পরেও যদি আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া হয় বড় ধরনের আন্দোলেন ডাক দেওয়া হবে।

দাবিসমুহ- বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের তারিখ হতে চাকরি জাতীয়করণ, জাতীয়করণের আগ পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি প্রদান এবং প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষকে বেসরকারি কর্মচারীদের জাতীয়করণের ক্ষমতা দিতে হবে।

মানবন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিজভী আহমেদ রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মিয়ামহ সরকারি কলেজের প্রায় দেড় শতাধিক কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।