প্রতারকরা ফাঁদ পাতছে বিয়ে নিয়েও
প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ১১:০২ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৬ শনিবার
প্রতারণা বেড়ে গেছে সমাজে। সব ক্ষেত্রেই প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। পবিত্র বন্ধন বিয়ে নিয়েও প্রতারণার ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। এর সঙ্গে জড়িত শুধু ছেলে বা মেয়েই নয়, বাবা-মা-ভাই-বোন এমনকি কাজীরাও একজোট হয়ে মানুষ ঠকাচ্ছে।
চাপাইনবাবগঞ্জের বারঘরিয়ার শরিফা। কখনও তুরজাউন, কখনও বৃষ্টি আবার কখনও শরীফা তুরজাউন। মা জোবেদা, ভাই হযরত আলী ও দুই কাজী মিলেই এই প্রতারক চক্র। একেক সময় একেক কৌশলে তারা সর্বশান্ত করেছে ২৪ যুবককে।
ব্যবসায়ী বদিউজ্জামান বাবু ওরফে রাজা বাবু শরীফাকে দেখে খোঁজখবর না নিয়েই সম্পর্কে জড়িয়ে যান। বিয়েও হয়।
কিছুদিনের মধ্যেই রাজাবাবু জেনে যান তার সাথে বিয়ের আগেই ১৯টি বিয়ে হয়েছে শরীফার।
এরপরই সৌদি প্রবাসী চাঁদপুরের নূর হোসেনকে বিয়ে করে। তিনমাস পর দেশে ফিরে বাড়ি কেনাসহ নানা অজুহাতে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন শরীফা।
এভাবে একের পর এক প্রতারণা করতে থাকে তারা। শরীফার প্রতারণা সম্পর্কে জানতে তার বাসায় গেলে ক্যামেরা দেখেই তেড়ে আসে তার ভাই।
শরীফা বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক মামলাও হয়েছে। এমনকি তার ২৪টি বিয়ের কথা পুলিশও জানে।
শরীফা-জোবেদার প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে চাপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছে তাদের খপ্পড়ে পড়া মানুষেরা।
স্থানীয় এক প্রভাবশালীকে দিয়ে একুশের চোখ টিমকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতারক শরীফা ও তার মা জোবেদা। কিন্তু ওই প্রভাবশালীর সামনে সব প্রমাণ উপস্থাপনের পর পালিয়ে যায় প্রতারকচক্র।
এরপর টেলিফোনে রিপোর্ট না করতে নিষেধ করে প্রতারকরা।