‘প্রধানমন্ত্রী আলেমদের সম্মান করেছেন’
প্রকাশিত : ১০:১১ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার
দাওরা সনদকে মাস্টার্স সমমানের মর্যাদা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আলেম সমাজকে সম্মানিত করেছে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করবেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি ফাউন্ডেশনের গভর্নর মেজবাহুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউনাইটেড ইসলামিক স্কলার্স ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়ে তিনি যে সম্মান দেখিয়েছেন। আল্লাহকে হাজির নাজির রেখে আমরা দোয়া করছি আল্লাহ যেন তাকে সর্বোচ্চ সম্মান বাড়িয়ে দেন। আমরা তথা আমাদের পরিবার আজীবন তার জন্য দোয়া করে যাব। আল্লাহ যেন তাকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন করেন। আমাদের চেষ্টা থকবে চলমান কাজগুলোকে শেষ করতে পারে সে জন্য আমরাও ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করবো।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক মাওলানা ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের চেষ্টা থাকবে তাকে পুনরায় ভোটদিয়ে ক্ষমতায় আনার। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন কারেন মেজর জেনারেল (অবঃ) এটি এম আব্দুল ওয়াহাব এমপি।
আলোচকরা বলেন, ইসলামের প্রচার- প্রসারে যে সকল অবদান রেখেছেন তার একটি বাস্তব চিত্র জাতির সামনে দৃশ্যমান। তিনি ইসলাম প্রচারে ৫৬০ মডেল মসজিদ স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন। ১০১০ টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ দেশে একটি স্বতন্ত্র আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাও বাস্তবায়ন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নির্দেশনায় ২০১০ সালে ৫ বছর মেয়াদী হজ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। হজ যাত্রীদের সুবিধার জন্য ২০১১ সালে জেদ্দা হজ্জ টার্মিনাল প্লাজা ভাড়া নিয়ে বাংলাদেশ প্লাজা স্থাপন করেছেন। হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রী প্রেরণে সাফল্য লাভের জন্য বাংলাদেশ সৌদি সরকারের স্বীকৃতি লাভ করেছে। দেশব্যাপী ১০০০ টি মাদরাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ৭৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কালের আবর্তে হারিয়ে যাওয়া মক্তব শিক্ষার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ইতোমধ্যে ১০১০ টি দারুল আকরাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আল-কোরআন নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ, পঠন ও অনুশীলনের জন্য ৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে আল- কোরআন ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের দরবারে মাদার অব হিউমিনিটি খেতাবে ভূষিত হয়েছেন ।
আল্লামা রুহুল আমিন খান উজানীর সভাপতিত্বে মুফতি মহিবুল্লাহর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ, মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুফতি নুর হোসেন নুরানি, ডা. মাওলানা হাফেজ ইরফান বিন তোরাব আলী, কারি হাবিবুল্লাহ বেলালী, ড. মুহাম্মাদ ইউসুফ, মাওলানা মুহাম্মাদ কামাল হোসাইন, মাওলানা নুরুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল খালেক শরিয়ত পুরী, আহসানুল হাদী, আব্দুল মোমেন, অধ্যাপক সাঈখ উছমান গনী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা মুফতি আতিকুর রহমান, জাওহার ইকবাল খান, মুফতি আবু ইউসুফ গওহরী, মারুফ বিল্লাহ, সেলিম-ই আহমাদ প্রমুখ।
এসি