ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়িতে ৫ শতাধিক যানবাহন আটকা

প্রকাশিত : ০৯:১১ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:০১ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

পদ্মায় নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে আজ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ওই প্রান্তে আটকা পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ।

জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকাল থেকে ওই রুটে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল। পরিক্ষামূলকভাবে চলছে ছোট ও কেটাইপ ফেরি কুমিল্লা, কাকলী, কেতকী ফরিদপুর ও ঢাকা নামের ৫টি ফেরি। তবে লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আর রোরো, কেটাইপ ও ট্রাম ফেরি বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ি প্রান্তে আটকে আছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।

অন্যদিকে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দৌলতিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে পরিবহনের চাপ সামাল দিলে এ নৌ-রুটে নিয়মিত চলাচল করছে তিনটি রোরো ফেরি ও একটি কে-টাইপ ফেরি। সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে ফেরি ‘ক্যামেলিয়াকে’ সে ঘাটে পাঠানো হয় এবং চাঁদপুর-হরিণা ঘাটের নৌ-রুটে পাঠানো হয় ‘করবী’।

বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে নৌরুটের লৌহজং টানিং পয়েন্টের মুখে একটি ডুবোচরের সৃষ্টি হয়। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানির সঙ্গে ক্রমাগত পলি পরে ডুবোচরটি দিন দিন বড় হতে থাকে। এতে চ্যানেলের মুখে বড় রকম একটি ডুবোচরের কারণে ফেরি চালকরা প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতো। বিআইডব্লিউটিএ-কে বিষয়টি অবহিত করলে তারা চ্যানেলটি কিছুতেই চালু করতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে এ রটের ড্রাম ও রোরো ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটির উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, বর্তমানে ৬টি ড্রেজার চ্যানেলের পলি অপসারনের কাজ করছে। তবে স্রোতের কারণে ড্রেজিং করতে সমস্যা হচ্ছে।

একে//