ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১৩ ১৪৩১

বোঝা শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজের ঘাড়েই ছিল

প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান।কাফ মাসলে টান অনুভব করলেন।কিন্তু কাঁধ থেকে দায়িত্বের বোঝা একটু কমানোর সুযোগও নেই।আবুধাবির ধীরগতির উইকেটে বাড়তি স্পিনার রাখার চিন্তায় একাদশে রুবেল হোসেনও ছিলেন না। অগত্যা সেই বোঝা শেষ ওভার পর্যন্ত টানলেন মুস্তাফিজ।

হাল না ছাড়ার মানসিকতায় নিজেকে কঠিন পরিস্থিতিতে বোলিংয়ের জন্য তৈরি রাখার চেষ্টাও করে গেছেন প্রতিনিয়ত। বোতলের পর বোতল পানি শেষ করেছেন।
প্রতিবার দুই বোতল করে পানি খেয়ে নিজেকে সতেজ রাখার চেষ্টা করতে করতে একসময় এসে যায় সেই সময়, যখন শেষ ওভারে জেতার জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ৮ রান। এই সময়ের ক্রিকেটে ৬ বলে ২০-২৫ রানের সমীকরণও যখন দলগুলো অবলীলায় মিলিয়ে ফেলে, সেখানে সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও গুলবাদিন নাঈবের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকায় ভরসা ছিল না আরো। কিন্তু মুস্তাফিজ তার বোলিং চাতুরী দিয়ে ভরসাও হয়ে উঠলেন, আবার ৩ রানের জয়ে দলের এশিয়া কাপ ফাইনালে যাওয়ার জানালাও খুলে রাখলেন। নিজের মধ্যে বিশ্বাস যেমন ছিল, তেমনি ছিল দোলাচলও।

স্বল্পবাক মুস্তাফিজ কাল দুপুরে ফেস্টিভাল সিটির ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্বভাবসুলভ হাসিতে বলছিলেন ওই সময়টির কথাই, ‘গোল বলের কোনো বিশ্বাস নেই। ওপরওয়ালা সহায় থাকলে হয়। শেষ ওভারে কুড়ির ওপরে রান থাকলে ঠিক ছিল। কিন্তু ২০ রান পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা নেই। যেকোনো মুহূর্তে ওই রানটা নিয়ে নিতে পারে। আমার চেষ্টা ছিল, নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। আর সময়ও ভালো গেছে। এই আর কি!

সেই চেষ্টায় খাদের কিনার থেকে ঘুরে বাংলাদেশ দল আবার কক্ষপথে। আগের দুই ম্যাচের হারে গুমোট হয়ে থাকা দলের পরিবেশও এখন বদলে গেছে বলে মনে হচ্ছে তার, ‘জেতার কারণে আমাদের ভালো হয়েছে। দুটো ম্যাচ হারার পরে অন্য রকম ছিল পরিবেশ। এখন একটি ম্যাচ জিতেছি, আরেকটি জিতলে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগও আছে। কাজেই আমাদের এখন ফুরফুরে মেজাজেই থাকার কথা।’

আরকে//