ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১

বিরাট কোহলির বড়ই দুঃখের দিন এটি

প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

বছর ১২ আগের ঘটনা। সাল ২০০৬। বিরাট তখন আঠারোর তরতাজা তরুণ। দিল্লির হয়ে রঞ্জি খেলছেন। বিপক্ষ কর্ণাটক। তৃতীয় দিন পর্যন্ত ব্যাট করে ক্রিজে অপরাজিত থেকে বাড়ি ফিরেছেন। পরের দিন আবার ব্যাট করবেন, সেই মতো শ্যাডো প্র্যাকটিস থেকে নানা রকম ভাবনা চিন্তায় নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলেন। কে জানত দিনের শেষে রাতের অন্ধকারের থেকেও গভীর, ঘন কালো অন্ধকার সময় নেমে আসছে তার জীবনে। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬, রোববারের ভোর ৩টা নাগাদ পিতৃহারা হয়েছিলেন বিরাট। ইহোলোক ত্যাগ করে পরলোক গমন করেছিলেন প্রেম কোহলি।

দেখতে দেখতে ১২টা বছর হয় গেল, সেই রাত ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের স্মৃতিতে এখনও টাটকা। ক্ষতটা যেন এখনও দগদগে। এক যুগ আগের সেই রাত এখনও কাঁদায় তাকে। ন্যশনাল জিওগ্রাফিকের একটি তথ্যচিত্রে সেই দুর্বিসহ রাতের কথা বলতে গিয়ে ভারত অধিনায়ক বলেছেন, আমার হাতেই সবটা শেষ হতে দেখেছিলাম (বাবর মৃত্যু)। তখন রাত ৩টা এবং আগের দিন পর্যন্ত ব্যাট করেছি। আমি ৪০ রানে অপরাজিত ছিলাম এবং যেহেতু সেটা ছিল রঞ্জি ম্যাচের শেষ দিন, পরদিন আমাকে আবার ব্যাট করতে হতো। সে রাতে আমরা কোনও সাহায্য পাইনি। পাড়া প্রতিবেশি থেকে যাদের আমরা চিনতাম, সবাইয়ের কাছেই সাহায্য চাইছিলাম। কিন্তু কোনও চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। সেই রাতে আমরা কারও সাড়া পাইনি। যখন অ্যাম্বুলেন্স এল, সবটা শেষ হয়ে গিয়েছে।”
সঙ্গে তিনি জুড়ে দিয়েছেন, “আমার মনে হয় বাবর মৃত্যুর পর থেকেই আমি আরও বেশি ফোকাসড হতে পেরেছি। কারণ সেই সময় থেকেই আমি সব ভুলে নিজের এবং বাবার স্বপ্নের পিছনে ছুঁটতে শুরু করি।”

প্রসঙ্গত, বাবার মৃত্যুর দিনই মাঠে ফিরেছিলেন বিরাট। সেদিন শতরান হাতছাড়া হলেও নিজের স্কোরবোর্ডে আরও ৫০ রান যোগ করেছিলেন বিরাট। চতুর্থ দিনের শেষে বিরাট কোহলির স্কোর ছিল ৯০। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ ড্র করেছিল দিল্লি। এরপর যত সময় গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট অধ্যায়ের এক একটা পাতা উন্মোচিত হতে থেকেছে। ২০০৮-এ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয় থেকে আজকে বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যান হওয়া এবং বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দেওয়া- যত দিন যাচ্ছে নিজের মুকুটে আরও আরও পালক যোগ করছেন বিরাট কোহলি।

সূত্র- জি ২৪

আরকে//