বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে তিন বছর আগের হোয়াইটওয়াশ
প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের আজকের ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে ভারতের সঙ্গে কোন দল খেলবে ফাইনাল। তাই দুদলের মধ্যেই এটা অঘোষিত সেমিফাইনাল। তবে, কোন দল এগিয়ে এ নিয়ে রয়েছে যতেষ্ট বিতর্ক। ২০১৫ সালের ওয়ানডে সিরিজ প্রেরণা দিচ্ছে বাংলাদেশকে। এশিয়া কাপে সেই পুরনো প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তিন বছর আগের হোয়াইটওয়াশ হতে পারে বাংলাদেশের প্রেরণা। ২০১৫ সালে সেই সিরিজের পর বুধবারই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে প্রথম মুখোমুখি দুই দল।
১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে ২০১৫ সালে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাশরাফির নেতৃত্বে ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। কেবল একটি জয় নয়। ঘরের মাঠে ওই সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে মাশরাফি-মুশফিকরা। তরুণ সৌম্যর ব্যাটে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিল। আজকের এমন একটি ইনিংসই প্রত্যাশা সৌম্যর কাছে। যদি সৌম্য খেলেন তাহলে নিশ্চিতভাবে সবাই অপেক্ষায় থাকবেন আরও একটি চমৎকার ইনিংসের জন্য।
আবুধাবিতে আজকের এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচে তাই কাউকে এগিয়ে রাখতে হলে পরিসংখ্যানই সামনে আনতে হবে। স্মৃতি হাতড়ালে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানী পেতে পারেন মাশরাফিরা। ২০১৫ সালের মতো আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে তেমন ক্রিকেটই খেলতে হবে লাল-সবজু জার্সীধারীদের।
২০১৫ সালের পর বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানও নিজেদের অনেক বদলে ফেলেছে। একসময় র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পেছনে চলে যাওয়া পাকিস্তান নিজেদের দুই ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ দলে খুব বেশি পরিবর্তন না থাকলেও পাকিস্তানের দলটি পুরোটাই বদলে গেছে। তিন বছর আগে খেলা দল থেকে আছেন কেবল অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। বাংলাদেশ দলের সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটার ছাড়াও রুবেল-সৌম্য খেলেছিলেন তিন বছর আগের ম্যাচটাতে।
এসএইচ/