তেহরানের ওপর বল প্রয়োগ, পাল্টা চাপে ট্রাম্প
প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভাপতিত্বে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ট্রাম্প গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে ইরান সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলে বিশ্ব নেতারা ইরানের পরমাণু সমঝোতার পক্ষে কথা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অপ্রস্তুত করে দিয়েছেন।
এসময় মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ও গোলযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইরানকে দায়ী করেন ট্রাম্প। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায় বলে অভিযোগ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে অর্জিত অর্থ মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের কাজে ব্যয় করেছে তারা।
এদিকে ইরান শুরু থেকেই এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ওয়াশিংটনকে প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে আসছে।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর ইউরোপীয় দেশগুলোর পাশাপাশি রাশিয়া ও চীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ইরানের পরমাণু সমঝোতার পক্ষে কথা বলেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন পরমাণু সমঝোতাকে সমর্থন করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, ইরানের পক্ষ থেকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন ঠেকানোর জন্য পরমাণু সমঝোতার চেয়ে ভালো কোনো উপায় নেই; কাজেই এ সমঝোতা রক্ষা ও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ করার প্রচেষ্টার মারাত্মক ক্ষতি করেছে। রাশিয়া এ সমঝোতা রক্ষা করার লক্ষ্যে চীনসহ অন্যান্য দেশকে নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকলেও বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এক টুইটার বার্তায় লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অপব্যবহার করল। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে নিজেকে আরো বেশি একা ও অসহায় অবস্থায় পেল ওয়াশিংটন।
সূত্র: পার্সটুডে
এমএইচ/