ফিফার সব বর্ষসেরারা
প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত করে আসছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা৷ ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফরাসি ফুটবলের পুরস্কার ব্যালন ডি অর-এর সঙ্গে মিলে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল৷
লুথার ম্যাথেউস
১৯৯০ সালে ম্যাথেউসের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ জেতে পশ্চিম জার্মানি৷ দারুণ নৈপুণ্যের স্বীকৃতি হিসেবে সে বছর ইউরোপ সেরার পুরস্কারও পান তিনি৷ পরের বছর ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো চালু হয় ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার৷ জার্মানির ইতিহাসে ফিফার এই পুরস্কার পাওয়া একমাত্র খেলোয়াড় ম্যাথেউস৷
মার্কো ফন বাস্তেন
ইনজুরির কারণে মাত্র ২৮ বছর বয়সে অবসরে যেতে বাধ্য হন ডাচ এই ফুটবলার৷ কিন্তু এর মধ্যেই ক্রীড়ানৈপূণ্য দিয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি৷ ১৯৯২ সালে দ্বিতীয় ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার যায় তার ঘরে৷ ব্যালন ডি অর জিতেছেন তিনবার, ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯২ সালে৷
দুই ইটালিয়ান
১৯৯৩ সালে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের পাশাপাশি ব্যালন ডি অরও পান রবার্তো বাজ্জিও৷ বাজ্জিওর পর দ্বিতীয় ইটালিয়ান হিসেবে ২০০৬ সালে ফিফার এই সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন ফাবিও কানাভারো৷ একই বছর ব্যালন ডি অরও যায় তার ঝুলিতে৷
ব্রাজিলের পাঁচজন
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে দেশ হিসেবে ব্রাজিলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার কেউ নেই৷ কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বসেরার পুরস্কার জুটছিল না অনেকদিন ধরেই৷ ১৯৯৪ সালে বিশ্বসেরা হয়ে সে আক্ষেপ ঘুচান রোমারিও৷ এরপর ১৯৯৯ সালে রিভালদো, ২০০৭ সালে কাকা, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে রোনালদিনিয়ো এবং ১৯৯৬, ১৯৯৭ ও ২০০২ সালে ফিফার বর্ষসেরা হন রোনালদো৷ পাঁচ খেলোয়াড় মিলে ৮ বার পুরস্কার ঘরে নিয়ে এখন এই দিকেও সেরা ব্রাজিল৷
বর্ষসেরা থেকে প্রেসিডেন্ট
গোটা আফ্রিকা মহাদেশে এখন পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বসেরার পুরস্কার জেতেন লাইবেরিয়ার জর্জ উইয়াহ৷ ১৯৯৫ সালে পৃথিবীর সব নামিদামি খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে ফিফার বর্ষসেরা হন উইয়াহ৷ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে৷ মজার কথা, খেলার মাঠের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও সমান জনপ্রিয় তিনি৷ এ বছরই লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷
দুই পর্তুগীজ
পর্তুগাল বললেই সবার আগে চোখে ভাসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম৷ রোনালদো সম্পর্কে নতুন করে আর বলার কিছু নেই৷ ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সাল মিলিয়ে মোট পাঁচবার বর্ষসেরা হয়ে মেসির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু পর্তুগালের হয়ে সর্বপ্রথম এ সম্মান ঘরে এনেছিলেন রোনালদোর পূর্বসূরি লুই ফিগো৷ ২০০১ সালে তার নাম ঘোষণা করে ফিফা৷
লিও দ্য গ্রেট
কে সেরা? মেসি, না রোনালদো? ক্লাব অথবা বিশ্বকাপ, কোথাওই এখনেও এ প্রশ্নের মীমাংসা হয়নি৷ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতোই পাঁচবারের বর্ষসেরার তকমা নিয়ে লড়াই জিইয়ে রেখেছেন লিওনেল মেসি৷ মেসি এ পুরস্কার পান ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার এবং ২০১৫ সালে আরও একবার৷
জিনেদিন জিদান
শুধু ফ্রান্স নয়, বিশ্বের সর্বকালের সেরাদের মাঝেও আসে জিনেদিন জিদানের নাম৷ নিখুঁত পাস, অসাধারণ বল কন্ট্রোল এবং টেকনিকের কারণে তাকে মনে রাখবে বিশ্ববাসী৷ ফ্রান্সের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে হলেও ১৯৯৮, ২০০০ এবং ২০০৩ সালে তিনবার বর্ষসেরার পুরস্কার নিয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি৷
লুকা মদরিচের ২০১৮
দীর্ঘ এক দশক কাউকে সুযোগ দেননি লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো৷ ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা বর্ষসেরার পুরস্কার নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন তারা৷ তবে ফুটবল রাজত্বে নতুন রাজার আবির্ভাব যে ঘটেছে তা বিশ্বকাপেই বুঝিয়েছেন লুকা মদরিচ৷ প্রায় একক নৈপুণ্যে নিজ দেশ ক্রোয়েশিয়াকে নিয়েছেন ফাইনালে৷ ২০১৮ সালে বর্ষসেরা তাই অবধারিতভাবেই লুকা মদরিচ৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে
একে//