দশম সমাবর্তনে যোগ দিতে রাবি যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
রাবি প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ০৫:৩২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:০৬ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
দশম সমাবর্তনে যোগ দিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এসময় তিনি দুইটি হল উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। নির্মিতব্য দুটি হল হলো-‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হল’ ও ‘এইচএম কামরুজ্জামান হল’।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে ১০তলা বিশিষ্ট এ ২টি অত্যাধুনিক হল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছেলেদের জন্য জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের নামে `শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল এবং মেয়েদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নামে `দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল` নির্মাণ করা হবে।
ইতোমধ্যে হল নির্মাণের স্থানও নির্বাচন করা হয়েছে। আগামী শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো আব্দুল হামিদ হল দু’টির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উদ্বোধন করবেন। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।
উপাচার্য আবদুস সোবহান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের দক্ষিণ পাশে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল এবং খালেদা জিয়া হলের পূর্ব দিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নির্মাণ করা হবে। দু`টি হলই দশ তলা বিশিষ্ট হবে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা হলে অত্যাধুনিক একটি সুইমিংপুল নির্মাণ করা হবে। সেখানে সকল ছাত্রী হলের ছাত্রীরা প্রবেশের সুযোগ পাবেন। এরই মধ্যে হল নির্মাণের থ্রি-ডি নকশার আহ্বান করা হয়েছে।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার জানান, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দশম সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওইদিন সমাবর্তন মঞ্চে যোগ দেয়ার আগে রাষ্ট্রপতি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ হল দু’টির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উদ্বোধনের জন্য সদয় সম্মতি জানিয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বসবাসের জন্য ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য ১১টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৬টি আবাসিক হল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি হলের সঙ্গে সংযুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৯ শ ৪৬ জন। আবাসিক সুবিধা রয়েছে ৮ হাজার ৩ শ ৫৪ জনের।
সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৫ শ ৯২ জন। ৬টি ছাত্রী হলে ৩ হাজার ৩ শ ১৯ জন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আর ১১টি ছাত্র হলে আবাসিক সুবিধা রয়েছে ৫ হাজার ৩৫ জন ছাত্রের। ফলে বেশি ধারণ ক্ষমতার হল দু’টির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন সংকট অনেকাংশে নিরসন হবে।
এনকে/ এমজে