হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে করণীয়
প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও অত্যন্ত জরুরি। একজন সুস্থ স্বাভাবিক পূর্ণ বয়স্ক মানুষের সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক চাপের পরিমাপ হচ্ছে ১২০/৮০। এই পরিমাপটি বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত হয়। রক্তচাপের পরিমাপ যদি ১২০/৮০ থেকে উপরে থাকে, তাহলে উচ্চ রক্তচাপ, আর যদি নিচে থাকে তাহলে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যাকে নির্দেশ করে।
চিকিৎসকদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের মতো নিম্ন রক্তচাপও হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। রক্তচাপ কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃৎপিণ্ডে ঠিকভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না। ফলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, চোখে অন্ধকার দেখা, বমি বমি ভাব, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় চিকিৎসকের পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত সামাল দেওয়ার জন্য ঘরোয়া কী কী উপায় অবলম্ব করা উচিত, তা জেনে রাখা ভাল। আসুন জেনে নেওয়া যাক, হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে কী করা উচিত-
১) প্রথমেই রোগীকে লবণ-চিনির পানি দিন। এক গ্লাস পানিতে ২-৩ চা চামচ চিনি ও এক চা চামচ লবণ মেশান। লবণের সোডিয়াম ও চিনির শর্করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ডায়াবিটিসের রোগী হলে শুধু লবণ-পানি খান।
২) নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় রোগীর ঘাড়ে, কানের লতির দু’পাশে ও চোখে-মুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে দ্রুত অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৩) ক্যাফিন আছে এমন পানীয় তাড়াতাড়ি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। কফি প্রেশার বাড়াতে খুব কার্যকর। তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় কড়া করে খফি খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
৪) নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় যষ্টিমধু খুবই কার্যকর। যষ্টিমধু রক্তচাপের ভারসাম্যও বজায় রাখে। বাড়িতে যষ্টিমধু থাকলে এক কাপ জলে ১০০ গ্রামের মতো যষ্টিমধু মিশিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর পানিটি খেতে দিন রোগীকে। উপকার পাবেন।
৫) শরীরে প্রোটিন কমলেও রক্তচাপের উপর তার প্রভাব পড়ে। দুধ ও ডিমে হাই প্রোটিন। তাই এমন হলে রোগীকে পথ্য হিসেবে দিন ডিমের কুসুম ও দুধ।
সূত্র: জিনিউজ
একে//