ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ডকুফিল্ম

সাধারণ জীবনের অসাধারণ গল্প

প্রকাশিত : ০১:৫৬ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৫:০১ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সিনেমা তৈরির চেষ্টা অনেকদিন থেকেই। এতো বছরে সম্ভব না হলেও, সম্প্রতি এটি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াগত অনেকটা কাজ সম্পন্নও হয়েছে। এরই মধ্যে সবাইকে চমকে দিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত একটি সিনেমার ট্রেলার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশ পেল ‌‌‘হাসিনা, অ্যা ডটারস টেল’ শিরোনামের এই ট্রেলার। যা দেখে মুগ্ধ সবাই।

জানা গেছে, অনেকটা নীরবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মজীবনী নিয়ে নির্মিত হলো এই ডকুফিল্ম। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও অ্যাপেলবক্স ফিল্মস-এর যৌথ প্রযোজনায় এটি নির্মাণ করেছেন রেজাউর রহমান খান পিপলু। সিনেমাটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন সাদিক আহমেদ।

এটি নির্মাণ ভাবনা প্রসঙ্গে নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু গণমাধ্যমকে বললেন, ‘শুটিং শেষ। চলছে সম্পাদনার কাজ। এটা অলমোস্ট আমাদের পাঁচ বছরের পরিশ্রমের ফসল। যদিও শুরুতে এমন কিছু করবো ভাবিইনি। শুরুতে আমরা চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর পারসোনাল অ্যাকটিভিটিগুলো রেকর্ড করে রাখতে। যার তেমন কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। বছর দুই পরে এসে মনে হলো এটা নিয়ে অসাধারণ কিছু করা যায়। কারণ, উনার পুরো লাইফটা এত বেশি ড্রামাটিক, সেটা সবাই জানেন। এখানে আমি তার সেই ছোট ছোট জীবনের গল্পগুলোকে এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা করেছি।’

সিনেমাটি প্রসঙ্গে তিনি আরও বললেন, ‘এই ডকুফিল্মে যদি প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান, তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি, দর্শক হিসেবে আপনি হতাশ হবেন। পরিচালক হিসেবে ব্যর্থ হবো আমি। কারণ, এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাবা-মেয়ের গল্পও বলতে পারেন। যে গল্প আমাদের ভাবাবে, কাঁদাবে, খুশি করবে, গর্বিত হওয়ার কারণ হবে। জাতি হিসেবে আমাদের এই আড়ালে থাকা অসাধারণ গল্পগুলো জানা দরকার এবং আমি মনে করি এই কাজটি করার মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে জীবনের বড় সুযোগটি পেয়েছি।’

নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু জানান, ‘হাসিনা, অ্যা ডটারস টেল’ ডকুফিল্মটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ মিনিট। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের দেখা যাবে। উঠে আসবে শেখ হাসিনার সাধারণ জীবনের অসাধারণ কিছু মুহূর্ত। যেখানে তিনি কখনও মেয়ে, কখনও মা, কখনও বোন আর কখনও আমজনতার নেত্রী হিসেবে দেখা দেবেন।

প্রকাশিত ট্রেইলারটি ব্যাখ্যা করে পিপলু বলেন, ‘ট্রেইলারে কিন্তু আমার শেখ রেহানার কণ্ঠ শুনেছি। আমি ইচ্ছা করেই ট্রেইলারে শেখ হাসিনার কণ্ঠ রাখিনি। এমনকী তাকে পুরোপুরি দেখাইনি। তার উপস্থিতি এবং কণ্ঠ দর্শক-শ্রোতাদের জন্য আরও বড় চমক হয়ে থাক।’

ট্রেইলারে বিদেশের দৃশ্য নিয়ে পিপলুর বক্তব্য, ‘৭৫-এর পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন। সেই সময়ের কথা বলতেই বিদেশের দৃশ্য রাখা হয়েছে।’

ট্রেইলারের একটি অংশে মৃদুভাবে শেখ হাসিনার কণ্ঠ শোনা গেছে এবং দেখে মনে হয়েছে তিনি রান্না করছেন। বিষয়টি নিয়ে পিপলু বলেন, ‘হ্যাঁ তিনি রান্না করেন এবং ভিডিওটি আমাদেরই করা। ছবিতে যত দৃশ্য সব আমাদের ধারণ করা। কোনো মোবাইলের ফুটেজ এখানে নেই। ওই যে বললাম, অনেকদিন ধরে এর দৃশ্যধারণ করেছি।’

এসএ/