ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

নারীদের আয়রন বেশি লাগে কেন?

প্রকাশিত : ০৩:২৮ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

অসংখ্য ধরনের পুষ্টি ও মিনারেল দিয়ে মানবদেহ গঠিত হয়, যা শরীরের যথাযথ কার্যক্রমে সহায়তা করে। এরকমই একটি অতি প্রয়োজনীয় খনিজ হলো আয়রন।

লোহিত রক্তকণিকার মাধ্যমে শরীরের কোষগুলোতে অক্সিজেন পৌঁছাতে সহায়তা করে আয়রন। নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই আয়রন প্রয়োজনীয় মিনারেল হলেও মূলত নারীদের বেশি আয়রনের প্রয়োজন হয়।

ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিউটের হিসেব অনুযায়ী, গড়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক প্রায় আট মিলিগ্রাম ও একজন নারীর ১৮ মিলিগ্রাম আয়রনের প্রয়োজন। তবে গর্ভাবস্থায় একজন নারীর আয়রনের চাহিদা বেড়ে ২৭ মিলিগ্রামে দাঁড়ায়।

কনসালটেন্ট নিউট্রিশনিস্ট ড. রুপালি দত্ত বলেন, ‘মূলত প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় রক্ত চলে যাওয়ায় নারীদের শরীরে আয়রনের চাহিদা বেশি। আবার গর্ভাবস্থায় গর্ভস্থ সন্তানের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আয়রনের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। মূলত এ দুটি কারণে নারীদের তুলনামূলকভাবে বেশি আয়রন দরকার হয়।’

প্রতিমাসে বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত নারীদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে শরীরের আয়রনের পরিমাণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ ক্ষতি পূরণে খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হয়।

গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর থেকে পাওয়া আয়রনে শিশুর বুদ্ধি ঘটে। এমনকি একজন শিশুর জন্মের পর ছয়মাস পর্যন্ত আয়রন পায় মায়ের শরীর থেকেই। এজন্য গর্ভাবস্থায় মায়ের আয়রনের চাহিদা আরও বেড়ে যায়।

শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে হতে পারে রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা ইত্যাদি। তাই সবুজ শাক সবজি, ডিম, শুকনা ফল, বাদাম ও বীজ, শিম, মাছ ইত্যাদি খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

 

সূত্র: এনডিটিভি

 

এমএইচ/