1. প্রচ্ছদ
2. রাজধানী

শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটা সচল থাকলেও, বিদেশে যেতে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। গুণতে হয় বাড়তি টাকা। মেডিকেল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার একটি সিন্ডিকেটের হাতে থাকায় ভোগান্তির অন্ত নেই সেবা প্রার্থীদের। আর দালালদের দৌরাত্ব বন্ধ করতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্র“ভড মেডিকেল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন-গামকা।

দর্শক, এ’বিষয়ে বিস্তারিত দেখবেন রাত ১০টায় একুশের চোখ অনুষ্ঠানে।

মধ্যপ্রাচ্যে গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোর সমন্বয়কারি সংস্থা- গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্র“ভড মেডিকেল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন-গামকা। ফিটনেস কার্ড পাওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ কাক ডাকা ভোরে লাইনে দাঁড়ায় গামকা অফিসের সামনে।

দরিদ্র গ্রামীণ সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকাও হাতিয়ে নিচ্ছে গামকা অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলো। গামকার ভেতরে বাইরে রয়েছে শত শত দালাল। ছবি তোলার নামেও টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

মেডিকেল ফিটনেস কার্ড সংগ্রহের প্রতিটি ধাপে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হয়ে বিদেশ গমনেচ্ছুদের। স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে বাড়তি টাকা নেয়ারও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টনসহ আশপাশে রয়েছে অসংখ্য মেডিকেল সেন্টার নামধারী টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিষ্ঠান। ডাক্তার, নার্স বা টেকনিশিয়ান ছাড়াই বিদেশ গমনেচ্ছুদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ’সব মেডিকেল সেন্টার।

গামকার বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কথা হয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সাথে। তিনিও স্বীকার করেন সীমাবদ্ধতার কথা।

বিদেশ গমনেচ্ছুদের ভোগান্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে গেলেও কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।