ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

চবির পদার্থবিদ্যা বিভাগের উৎসবে প্রাণের উচ্ছ্বাস

চবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পদার্থবিদ্যা বিভাগের বয়স এখন ৫০ বছর। এই সময়ে হাজারো শিক্ষার্থী লেখাপড়া শেষ করে ছড়িয়ে পড়েছেন কর্মজীবনের নানা ক্ষেত্রে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে স্বপ্ন দেখার শুরু যে চত্বরে, সেখানেই পুরোনো শিক্ষার্থীদের একত্র করতে আয়োজন করা হয় সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের। এতে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ ও ফটো সেশন দিয়ে।

অধ্যাপক ড. রেজাউল আজিমের সঞ্চালনায় পদার্থবিদ্যা বিভাগের বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষিকদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন অধ্যাপক ড. হামিদা বানু, অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. ফরাজী কামাল উদ্দিন ও অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. ফরাজী কামাল উদ্দিন বলেন,যোগাযোগের অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে কাছে না এলে অসম্পূর্ণতা থেকে যায়। এ ধরনের অনুষ্ঠান একজনের সঙ্গে আরেকজনের মিলিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।

সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন, ১৯৭১-৭২ সেশনের শিক্ষার্থী দেব প্রসাদ পাল,অধ্যাপক আব্দুর রশীদ, ১৯৭২-৭৩ সেশনের এম এ শাহান শাহ, ১৯৭৬- ৭৭ সেশনের অনীল কুমার রায়, ১৯৭৭-৭৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম, ১৩তম ব্যাচের নিলুফা ফার্না,১৬তম ব্যাচের ফরিদুল হক, ১৮তম ব্যাচের রফিকুল ইসলাম, ১৯তম ব্যাচের শামীম মাহমুদ চৌধুরী, ২৩তম ব্যাচের শ্যামল রতন চক্রবর্তী, ২৪তম ব্যাচের আশরাফ, ২৬তম ব্যাচের আহসান, অঞ্জন কুমার নন্দী, ৪১তম ব্যাচের সাদ্দাম হোসেনসহ আরও অনেকে।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগের বর্তমান সভাপতি ও ১৯৭৭-৭৮ সেশনের শিক্ষার্থী প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম বলেন, বিভাগে ক্লাশ চলাকালীন আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মত শিক্ষকদের মুখনিঃসৃত বাণী শুনতাম। সময় যে কিভাবে কেটে যেত, টেরই পেতাম না! কারণ পদার্থবিদ্যার গভীর থেকে গভীরতর ব্যাপারগুলোতে আমরা এমনভাবে ডুবে যেতাম,যে বাস্তব পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের কোন যোগসূত্রই থাকতো না। অধিকাংশ সময় আমরা শিক্ষকদিগকে অনুরোধ করতাম আমাদের আরও পাঁচ-দশ মিনিট সময় বেশি দিতে,যেন আমাদের জ্ঞানপিপাসু মনগুলি পরিপূর্ণভাবে পরিতৃপ্ত হয়। কোন পিরিয়ডের পর ফাঁকা থাকলে আমরা শিক্ষকদিগকে অনুরোধ করতাম অতিরিক্ত ক্লাশ নিতে। কোন কারণে কোনও শিক্ষকের আসতে বিলম্ব ঘটলে আমাদের মধ্যে মৃদু অসহিষ্ণুতা দেখা দিত। ক্রমশ- তা উদ্বেগে পরিণত হতো। সত্যি সত্যিই ক্লাশ মিস হয়ে গেলে সবাই নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করতাম। সেদিন সবার মনটাই খারাপ হয়ে যেত ।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বেতার এবং টেলিভিশনের খ্যাতনামা শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। র‌্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এস এইচ/