ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সমাপনী

প্রকাশিত : ১০:১৯ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার

‘আমাদের দেশের তরুণ শিল্পীদের শক্তির পরিচয় পেয়েছি এই আয়োজনে। প্রবীনদের পাশাপশি নবীনরাও ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হচ্ছে। এটিই আমাদের বিশেষ অর্জন। নাম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী হলেও, ৬৮টি দেশের অংশগ্রহণই প্রমান করে আমরা সারা বিশ্বে এটিকে ছড়িতে দিতে পেরেছি। আমরা সবাই শিল্পের সঙ্গে থাকব এটিই প্রত্যাশা করি।’ ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলছিলেন সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

রোববার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল ৫টায়। সমাপনি আয়োজনে ছিল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে মিলনায়তনের সামনে শিল্পকলা একাডেমি যন্ত্রশিল্পীদের পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। মিলনায়তনে প্রবেশের পরপরই শুরু হয় ‘মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার, গানের সঙ্গে একাডেমির নৃত্য শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা।

শিল্পের বৃহৎ মিলনমেলা ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৮’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুরো সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে শিল্পকলা একাডেমি উৎসবমূখর ছিল। তবে ১৮তম এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী শেষ হলেও অক্টোবর থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে আরও ব্যাপক কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশা করি শিল্পকলা একাডেমিতে সবসময় বৈতিত্রপূর্ণ আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে।’

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘আজকের দিনটি একদিকে যেমন আনন্দের অন্যদিকে বেদনার। তবে আমরা স্বপ্ন দেখছি আগামী ১৯তম আসর আরো বড় পরিসরে করতে পারবো।’ মহাপরিচালক আয়াজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শিল্পী, অতিথি, আয়োজক ও কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানান।

গত ১ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মাসব্যাপী বিশ্ব শিল্পের বৃহৎ মিলনমেলা ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৮’-এর উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এবার এই আয়োজনের ১৮তম আসরে বিশ্বের ৬৮ দেশের চারুশিল্পীরা অংশগ্রহণ করছে। এবারের আয়োজনের মধ্যে ছিল দেশি-বিদেশি শিল্পীদের মোট ৩৬৮টি পেইন্টিং, প্রিন্ট ও ফটোগ্রাফি; ৩৩টি ভাস্কর্য; ৫২টি ইনস্টলেশন আর্ট এবং ৩০ জন পারফর্মেন্স আর্টিস্ট-এর শিল্পনৈপূণ্য প্রদর্শনী। আয়োজনের মধ্যে আরও ছিল ১২ জন বাংলাদেশি নবীন শিল্পীর অংশগ্রহণে এবং শিল্পী বিশ্বজিৎ গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে ‘ইয়াং আর্ট প্রজেক্ট’। দেশি-বিদেশি ৪৬৫জন শিল্পীর ৫৮৩টি শিল্পকর্মের এ বিশাল শিল্পযজ্ঞে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক সেমিনার, পেইন্টিং, ভাস্কর্য, আলোকচিত্র, প্রাচ্যকলা, প্রিন্ট মেকিং, ভিডিও আর্ট, মৃৎশিল্প, পারফর্মেন্স আর্ট, নিউ মিডিয়া এবং স্থাপনা শিল্প । বিশেষ সংযোজন হিসেবে ছিল কারুপণ্য মেলা, ফুড কোর্ট, আর্ট ক্যাফে, শিশু কর্ণার, আর্ট ক্যাম্প, পারফর্মেন্স আর্ট ওয়ার্কশপ এবং ভাস্কর্য উদ্যান।

এসএইচ/