সন্তানদের কর্মক্ষেত্রে নিয়ে যেতেন যেসব রাজনীতিবিদ
প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৯:৪২ এএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার
সাধরণত কর্মক্ষেত্রে অনেক কাজের চাপ থাকে। পুরুষ খুব সহজেই সেই চাপ সহ্য করে সব কিছু সামলে নেয়। কিন্তু নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে এই চিত্রটা একটু ভিন্ন। বিশেষ করে বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে। আর ওই নারীর ঘরে যদি থাকে ছোট্ট সন্তান, তবে কর্মক্ষেত্র ও সংসারের চাপ দুটি মিলে আরও বেশি ঝামেলায় পড়ে যায় নারী। সেই সঙ্গে ছোট্ট সন্তানকে রেখে কর্মক্ষেত্রে আসাটাও সম্ভব হয় না। কর্মক্ষেত্রেও সন্তানদের নিয়ে আসা যায় না। তবে এমন গৎবাঁধা ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছেন কিছু মানুষ। উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন নারী নেতা। যার জন্য তারা হয়েছেন বেশ আলোচিত। আবার সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে কাউকে।
এমন কয়েকজন নারী নেত্রীদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন-
১. নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাকিন্দা আর্ডেন। তিনি প্রথম কোন নারী বিশ্বনেতা যিনি তার তিন মাস বয়সী সন্তান নেভতে আরোহাকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিয়ে গিয়েছিলেন।
২. জো সুইনসন এমপি। যুক্তরাজ্যের প্রথম কোন এমপি যিনি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বিতর্ক চলার সময় তার শিশু সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন। জো সুইনসন আশা করেন যে তার এই পদক্ষেপ পার্লামেন্টের আধুনিকায়নে এক ধাপ এগিয়ে নেবে।
৩. অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর লারিসা ওয়াটারস। তিনি প্রথম নারী যিনি ২০১৭ সালের মে মাসে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি চলা অবস্থায় তার শিশু কন্যা আলিয়া জয়কে বুকের দুধ পান করিয়েছেন।
৪ . সুইডিশ এমইপি জিত্তে গুটল্যান্ড। তিনি শিশুদের কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসার বিষয়টিকে স্বাভাবিক করতে চান। যেন বাবা মায়েরা প্রয়োজনে সন্তানদের কাছে রাখতে পারেন।
৫. স্পেনের পোডেমোসের এমপি ক্যারোলাইনা বেসকানসা। ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসে পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালে তার সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর ঘটনায় সমালোচিত হয়েছিলেন। অনেকে এটিকে অপ্রয়োজনীয় বলে দাবি করেছিল।
৬. সাবেক এমইপি লিসিয়া রনজুল্লি। তিনি তার মেয়ে ভিট্টোরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে স্ট্রাসবুর্গের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার কারণে আলোচনায় এসেছিলেন শিশু ভিট্টোরিয়া।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এসএ/