আপনি যৌন অক্ষম কি না জানাবে ডাকটিকিট
প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৪:৪৯ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

ডাক টিকিট আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করি। এবার একজন পুরুষের যৌন জীবনে অক্ষমতার আছে কি না তা জানাবে ডাকটিকিট। শুধু তাই নয় অক্ষমতা কি মানুসিক নাকি শারীরিক সেটা বোঝার খুব সহজে। শুনতে অবাক হলেও একাই সত্য। এমন এক পদ্ধতি বের করছে করছে চিকিৎসকরা।
পন্থাটা সহজ: ঘুমাতে যাওয়ার আগে পুরুষাঙ্গে রিংয়ের মতো করে ডাক টিকিট জড়িয়ে নিন৷ সকালেই পেয়ে যাবেন উত্তর৷
নিজের উদ্ভাবন বড় অনুষ্ঠানে তুলে ধরতে বিশেষ পছন্দ করেন জন বেরি৷ একজন পুরুষের পুরুষাঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাইয়ের এক সহজ উপায় জানেন তিনি৷ এজন্য যা করতে হবে, তা হচ্ছে, পুরুষাঙ্গে রিংয়ের মতো করে ডাকটিকিট জড়াতে হবে এবং কিছুটা কল্পনাশক্তি লাগবে৷
সেই ১৯৭৯ সালে বেরি তাঁর দুই সহকর্মী,ব্রুস ব্ল্যাঙ্ক এবং মাইকেল বোইলিয়ুকে নিয়ে এই পন্থা উদ্ভাবন করেছিলেন৷ আর সেই উদ্ভাবনের প্রায় চল্লিশ বছর পর তাঁরা রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনে আইজি নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন৷ এটি একটি প্যারোডি নোবেল পুরস্কার, যা এমন উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেয়, যার কথা শুনলে মানুষ ‘প্রথমে হাসবে, তারপরে ভাববে`৷
বেরি বলেন, ‘‘আমাদের এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় একজন মানুষের লিঙ্গউত্থান ঘটে কিনা তা যাচাই করা৷ একজন স্বাভাবিক পুরুষের ঘুমন্ত অবস্থায় এক থেকে পাঁচবার লিঙ্গউত্থান ঘটে৷ আর এটা তিনি যখন স্বপ্ন দেখেন, তখন ঘটে৷ সেই স্বপ্ন যে যৌনউদ্দীপক হতে হবে এমন কোনো কথা নেই৷
সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখা যায়, ডাকটিকিটগুলো ছিঁড়ে যায়নি, অর্থাৎ আগের মতোই আছে, তাহলে বুঝতে হবে কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে সেই ব্যক্তির যৌন অক্ষমতা রয়েছে৷ বেরি বলেন, সেই ব্যক্তির হয়ত ডায়াবেটিস, বা ধমনীতে সমস্যা আছে৷``
কিন্তু, যদি দেখা যায়, ঘুমন্ত অবস্থায় একজন মানুষের লিঙ্গউত্থান ঘটে, কিন্তু যৌন সম্ভোগের সময় তেমনটা ঘটে না, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যাটা আসলে মানসিক৷ অর্থাৎ ডাকটিকিট পরীক্ষা সমস্যার কারণ বুঝতে সহায়ক৷ এই পরীক্ষা করতে একটি পুরুষাঙ্গের জন্য চারটি পর্যন্ত ডাকটিকিট দরকার হতে পারে৷ আর সেগুলো আঠা দিয়ে অবশ্যই আটকে দিতে হবে৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে
টিআর/