পর্ণগ্রাফি যৌনজীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছে না তো?
প্রকাশিত : ০৫:১২ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৬:১৬ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার
পর্ন ছবি দেখা এখনকার যুগে জলভাত। আইনিভাবে পর্নগ্রাফি দেখা নিষিদ্ধ হলেও লুকিয়ে চুরিয়ে চলতে থাকে এর মজা নেওয়ার পালা। তবে এই পর্নগ্রাফি কিন্তু আপনার যৌন জীবনে ডেকে আনতে পারে সর্বনাশ। এর জন্যই কিন্তু প্রথম রাতে শেষ হয়ে যেতে পারে সম্পর্ক। কারণ এখানে এমন অনেক কিছু দেখায় যেগুলো আদতে বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
অর্গাজম
তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মহিলাদের অর্গাজম। পর্নোগ্রাফিতে দেখা যায় স্বমেহনের পর খুব তাড়াতাড়ি অর্গাজম হয় মহিলাদের। একথা কিন্তু একেবারেই সত্যি নয়। মহিলাদের অর্গাজম হতে দেরি হয় বিস্তর। এমনকী মাঝেমধ্যে মহিলাদের অর্গাজম হয়ই না।
পারফেক্ট বডি
পর্নছবিতে যারা অভিনয় করেন, তাদের সবসময় পারফেক্ট ফিগার হয়। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয় না একেবারেই। সবার ফিগার যে পারফেক্ট হবে, এমন নয়। আশা করাটাও তো ভুল। সবার দেহে কিছু না কিছু খুঁত থাকে। স্তনের গঠন বা পুরুষাঙ্গের আকার সবার পারফেক্ট থাকে না। তাই পর্নোগ্রাফিতে দেখা সবকিছুই যে বাস্তবে হয়, এমন নয়। সেদিক থেকেও হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফোরপ্লে
যৌনতার আগে যে পর্নোগ্রাফিতে ফোরপ্লে দেখায় না, এমন নয়। কিন্তু ওখানে সেই সময়টা থাকে খুব কম। বাস্তব জীবনে যৌনতার ক্ষেত্রে ফোরপ্লের একটা মারাত্মক ভূমিকা থাকে। যৌনতার স্বাদই পাওয়া যায় ফোরপ্লে থেকে। বেশিরভাগ সময়ই এই ফোরপ্লে দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।
যৌনতার সময় শব্দ
সঙ্গমের সময় অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরা শব্দ করে। পর্নোগ্রাফিতেও এমন দেখা যায়। বাস্তবেও যে এমন হয় না, তা নয়। কিন্তু সবসময় যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা নয়।
সেক্স পোজিশন
পর্নোগ্রাফি ও বাস্তব জীবনের এক্ষেত্রে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। পর্নোগ্রাফিতে যে সেক্স পোজিশন দেখানো হয়, সেগুলি সবসময় বাস্তবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না। উলটে এই পোজিশনগুলি প্রয়োগ করতে গেলে সঙ্গীর কাছ থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন