এক নজরে নোবেলজয়ী অ্যালিসন
প্রকাশিত : ০৬:৪৫ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৬:৪৬ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার
মানবজাতি ও সভ্যতার প্রতি অনবদ্য অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতি বছর পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে সুইডেনের নোবেল কমিটি। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতি বছর রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি, পদার্থবিদ্যা এবং চিকিৎসা; এই ৫টি বিষয়ে অনন্য কাজ করা ব্যক্তিদের পুরস্কার দিয়ে আসছে এই কমিটি। ১৯৬৮ সালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতি। এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে কমিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের জেমস পি. অ্যালিসন এবং জাপানের তাসুকু হনজো’কে এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়েই ক্যান্সার আক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করার তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এই দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী। অ্যালিসন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
১৯৪৮ সালের ৭ আগস্ট মার্কিন মুল্লুকের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন এই চিকিৎসা বিজ্ঞানী। তিন ভাই এর মধ্যে তিনি সবথেকে কনিষ্ঠ। অষ্টম শ্রেণীতে থাকার সময় অংক শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক বাড়ে এলিসনের। ১৯৬৯ সালে মাইক্রোবায়োলজি’তে (অণুজীববিদ্যা) বিএসসি করেন তিনি। এর চার বছর পর টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রী।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন জেমস অ্যালিসন। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এ বিষয়ে গবেষণা করছেন তিনি। আশির দশকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থাকা অবস্থায় আবিষ্কার করেন ‘টি-সেল’।
টি-সেল বিষয়ে জেমস পি অ্যালিসনের একটি উক্তি বেশ বিখ্যাত। তিনি বলেন, “Once You have generated T cells that can recognize cancer, you’ve got them basically for rest of your life”. ১৯৯২ সালে তিনি আবিষ্কার করলেন টি-সেলের মূল কার্যকরী উপাদান হলো ‘সিডি-২৮’ নামের একটি মলিকিউল।
এই মলিকিউলের অস্তিস্ত্ব নিয়ে যখন অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন তখনই ১৯৯৫ সালে তিনি আবিষ্কার করেন ‘সিটিএলএ-৪’। একই সাথে তিনি প্রমাণ করে দেখান যে, এই সিটিএলএ-৪ এর কার্যকারিতাকে দমিয়ে রাখে সিডি-২৮ যা দিয়ে ক্যান্সার প্রতিহত হয়।
মূলত এই আবিষ্কারের পর থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধে এলিসনের তত্ত্বকেই কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জেমস পি অ্যালিসন বর্তমানে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এমডি অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন এই অধ্যাপক।
মাংসের বারবিকিউ খুব পছন্দ অধ্যাপক এলিসনের। অবসর সময়ে ‘দ্য চেকপয়েন্ট’ ব্যান্ডে হারমোনিকা বাজান অধ্যাপক জেমস পি এলিসন।
মানবজাতি ও সভ্যতার প্রতি অনবদ্য অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতি বছর পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে সুইডেনের নোবেল কমিটি। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতি বছর রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি, পদার্থবিদ্যা এবং চিকিৎসা; এই ৫টি বিষয়ে অনন্য কাজ করা ব্যক্তিদের পুরস্কার দিয়ে আসছে এই কমিটি। ১৯৬৮ সালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতি। এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে কমিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের জেমস পি. অ্যালিসন এবং জাপানের তাসুকু হনজো’কে এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়েই ক্যান্সার আক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করার তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এই দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী। এই দুই ব্যক্তির বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
/ এআর /