‘ক্যাপ্টেন খান’ নিয়ে সমালোচনার জবাব বুবলির
প্রকাশিত : ০৭:১৭ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৯:৩২ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার
হালের জনপ্রিয় নায়িকা শবনম বুবলি। একের পর এক সফল ছবি করে আলোচনায় সংবাদ পাঠিকা থেকে নায়িকা হওয়া এ সুদর্শনী।
উৎসব-পার্বনে ঢালিউডের এ নায়িকার ছবি বাড়তি আনন্দ দেয় দর্শকদের। গত ঈদেও বুবলি অভিনীত একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। শাকিব খানের বিপরীতে তার অভিনীত ‘ক্যাপ্টেন খান’নামের এ ছবিটি নিয়ে সবখানে চলছে আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক।
বলা হচ্ছে, ছবিটি ‘আনজান’নামের একটি তামিল ছবির নকল। তার চেয়েও বেশি সমালোচনা হচ্ছে, ছবিটি নকল হলেও তাতে যে পরিচ্ছন্নতা থাকা দরকার, তার ছিটেফোঁটাও নাকি ছিল না। তা সে কলাকুশলীদের অভিনয় হোক, কিংবা তাদের উপস্থাপনে।
সমালোচকদের এমন কথার জবাবে বুবলি বললেন, ‘সত্যি বলতে কী, ক্যাপ্টেন খান মুক্তির আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল, এটা তামিল ছবির রিমেক। রিমেক তো দোষের কিছু নয়। বলিউড, টালিউড সবখানেই তা হচ্ছে। প্রসঙ্গ উঠতে পারে, রিমেক হলেও এর নির্মাণশৈলী কেমন হলো তা নিয়ে।’
ছবি দেখার পর অনেক দর্শকই বলছে, ক্যাপ্টেন খান আনজানের নকল হলেও তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি? ‘যিনি এমন সমালোচনা করছেন, তিনি হয়তো জানেন না যে, আনজান ৭০-৮০ কোটি টাকা বাজেটের ছবি। সেখানে ক্যাপ্টেন খান মাত্র সাড়ে ৩ কোটি টাকায় বানানো হয়েছে। তাই যতটুকু হয়েছে, তাইতো অনেক বড় ব্যাপার।’
অনেক সীমাবদ্ধতার পরও হাতেগোনা চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, চুরি করা গল্পের অভিযোগই ছবিটিসহ পুরো বাংলাদেশী ছবির ইন্ডাস্ট্রিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে ছবি বানানোর সময় কেন তাহলে একটি নতুন গল্প হাজির করা যায় না? কেন নতুন গল্পের সংকটে ভুগছে ইন্ডাস্ট্রি? ‘এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক অভিজ্ঞ মানুষ রয়েছেন, তারা এ নিয়ে ভালো বলতে পারেন। তবে আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়, আগে থেকে একটি গল্প নিয়ে ভাবার সময় পান না সংশ্লিষ্টরা, এখন তারা খুবই ব্যস্ত—বলেন বুবলি।
/ এআর /