ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ইম্প্যাক্টর’প্রোগ্রাম উন্মোচন করলো তরু

প্রকাশিত : ১০:০৯ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:১০ পিএম, ১ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ইম্প্যাক্টর’ প্রোগ্রাম উন্মোচন করেছে তরু ইন্সিটিটিউট অব ইনক্লুসিভ ইনোভেশন। নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা সফলভাবে রূপান্তর কিংবা সামাজিক প্রভাবের পাশাপাশি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সফলভাবে পরিচালনা করতে দীর্ঘ ৮ মাসব্যাপী চলবে প্রোগ্রামটি। আজ সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রোগ্রামটি উন্মোচনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে তরু-এর প্রতিষ্ঠাতা সাইফ কামাল প্রোগ্রামটি উন্মোচন করেন। অতঃপর একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ‘ইম্প্যাক্টর’ প্রোগ্রামের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। স্বাগত বক্তব্যের পর টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা এবং উদ্যোক্তা বিষয়ে কথা বলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান বিটপি দাস চৌধুরী; তরুণ উদ্যোক্তারা কিভাবে পরিবর্তন নিয়ে আসছে এ বিষয়ে কথা বলেন আনিসুল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান রুবানা হক।

১ অক্টোবর থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আগ্রহীরা ‘ইম্প্যাক্টর’ প্রোগ্রামে অংশ নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন। এ লিংকে http://impactor.toruinstitute.com/apply/ গিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে।
যখন কোনো উদ্যোক্তার কাছে কোনো ধারণা থাকে, সে তখন জানে না যে কি পদক্ষেপ নিয়ে সে তার ধারণাটিকে ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারবে। ঠিক এ জায়গাটিতেই ‘ইম্প্যাক্টর’ প্রোগ্রাম কাজ করবে। উদ্যোক্তাদের সফল হওয়ার পথে প্রতিটি পদক্ষেপ কিভাবে নিতে হবে সে ব্যাপারে সহায়তা করবে প্রোগ্রামটি।

কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের পর মোট ১০টি ইম্প্যাক্টরকে নির্বাচন করা হবে ৮ মাসের পর্যবেক্ষণের এ যাত্রায়, যাতে করে তারা তাদের পণ্য বা সেবাগুলোকে ব্যবসায়িক রূপ দিতে পারে এবং সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে তা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

তরু ইন্সটিটিউট অব ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাইফ কামাল বলেন, “বাংলাদেশে এ ধরনের প্রোগ্রাম এটিই প্রথম। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম বা এধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, তবে উদ্ভাবনী ধারণাগুলোর জন্য দরকার বিস্তর ও দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা যেনো উদ্যোগগুলো বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ব্যবসার পরিকল্পনা করার পাশপাশি আইনি এবং অর্থায়ন সহায়তা পেতে প্রতিটি ইম্প্যাক্টরকে আমরা আলাদাভাবে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরামর্শ দিবো।”

নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীরা প্রোগ্রামের আওতায় ধাপে ধাপে পুরস্কৃত হওয়ার সুযোগ পাবে। পরামর্শ দেওয়া ছাড়াও প্রতিটি উদ্যোক্তাদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থায়ন প্রদান করা হবে এবং বাংলাদেশের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে অফিস বা কর্মস্থলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
‘ইম্প্যাক্টর’ প্রোগ্রামটির সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, আইপিডিসি, আনিসুল হক ফাউন্ডেশন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

এসএইচ/