ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকে সুস্থ থাকার উপায়

প্রকাশিত : ০৪:১৯ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

ব্রঙ্কাইটিস হল এক ধরনের সংক্রমণ। ব্রঙ্কাইটিস হলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ করার টিস্যুটি (ব্রঙ্কিয়াল ট্রি) ফুলে ওঠে। ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা শীতকালে বেশি হলেও অতিরিক্ত গরমেও রেহাই পান না অনেকে। বিশেষ করে যাদের ঘাম গায়ে শুকিয়ে গিয়ে সর্দিকাশি লাগার প্রবণতা আছে বা যারা হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন, তারা গরমেও রেহাই পান না ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকে।

ব্রঙ্কাইটিস যে কোনও বয়সেই হতে পারে। তবে বয়স্ক মানুষ বা ছোট শিশুদের ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ

ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কাশি। ব্যাকটেরিয়া থেকে ব্রঙ্কাইটিস হলে কফের রঙ হলুদ বা হালকা সবুজ হতে পারে। আবার ভাইরাল হলে সাদা কফ হতে পারে। কফযুক্ত কাশি, কাশতে গেলে বুকে ব্যথা, সঙ্গে জ্বর... এ সবই এর লক্ষণ। ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যায় মাঝে মধ্যে নিঃশ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। হাঁপানি বা অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ব্রঙ্কাইটিসের সম্ভাবনাও বেশি। এ ছাড়াও চারপাশের ধুলাবালি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ক্লান্ত লাগে। এ ছাড়াও অনেকের এ ক্ষেত্রে পা, পায়ের পাতা বা গোড়ালি ফুলতে পারে। বুকের ভেতর সাঁই সাঁই শব্দও হতে পারে। এ লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে চিকিত্‍সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

চিকিত্‍সা

ব্রঙ্কাইটিসের ক্ষেত্রে সবার আগে প্রয়োজন সময়মতো চিকিত্‍সা শুরু করা। ব্রঙ্কাইটিস হওয়ার ঠিক কতদিনের মধ্যে আপনি সেরে উঠতে শুরু করবেন, তা নির্ভর করে সংক্রমণ কতটা গুরুতর তার ওপর। ওষুধের মধ্যে প্রধানত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তবে ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খুব একটা কাজে নাও আসতে পারে। এ ছাড়া রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিত্‍সকেরা অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। সাধারণত, অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিসের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে ইনফেকশন চলে যায়। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই বন্ধ রাখবেন। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। আর এর সঙ্গে চাই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম।

প্রতিরোধের উপায়

ব্রঙ্কাইটিস রুখতে চাইলে নিতে হবে কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপ। যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ধূমপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরের ধুলাবালি থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে চলুন। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। যোগাসনও খুব ভালো উপায়। নিয়মিত প্রাণায়াম ফুসফুসের সমস্যা দূর করে, রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তোলে। ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু ওষুধের ওপর ভরসা না করে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন অত্যন্ত জরুরি।

সূত্র: জিনিউজ

একে//