ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে সরিয়ে নিতে হচ্ছে অনুনমোদিত সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত : ১০:১১ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১১ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার

সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে হচ্ছে অনুনমোদিত সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। গুটিয়ে ফেলতে হবে প্রায় ৫০টি স্কুলসহ ৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন, এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি না করে, প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরে পর্যাপ্ত সময় যাতে দেওয়া হয়- এমন দাবী স্কুল-কলেজগুলোর কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের। রাজধানির ধানমন্ডিতে প্রায় ৬শ একর, জমি নিয়ে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়, গেল শতকের পঞ্চাশের দশকে। সময়ের ব্যবধানে এর আবাসিক চরিত্র পাল্টে পরিণত হতে থাকে বাণিজ্যিক এলাকায়। এ অবস্থায় ২০১২ সালে এক রিটের রায়ে, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার, নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল হলে, দীর্ঘ শুনানির পর, চলতি মাসের ১ তারিখে তা খারিজ হয়ে যায়। বহাল থাকে হাইকোর্টের রায়ই। সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে, ৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরী করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে, স্কুল-৫১টি, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ১০টি। রায়ের পর অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া নিয়ে। আর, সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভবকরা। স্কুলগলো অন্যত্র চলে গেলে কিভাবে সামাল দেবেন, কর্মস্থল আর সন্তানদের আনা নেওয়া- এমন চিন্তা তাড়া করছে তাদের। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত না করে, ক্যাম্পাস স্থানান্তরের উপায় খোঁজছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ। এজন্য সরকারের কাছে বাড়তি সময় চাইছেন তারা। নগর পরিকল্পনাবিদ ও গবেষকরা বলছেন, আবাসিক এলাকার প্রয়োজনে, শিশুদের স্কুল থাকতেই পারে। তবে, তা অবশ্যই হতে হবে ছোট পরিসরে। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলেও, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেয়ে, পরবতী করণীয় নির্ধারণের কথা জানিয়েছে, রাজউক ।