ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

রোহিঙ্গা সংকট: মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে ইইউ

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ৪ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৪২ এএম, ৪ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে বিবেচনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ঘটনায় বিষয়টি বিবেচনা করছে তারা। আর এটা হলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক বাজার থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাতে হতে পারে মিয়ানমারকে।

এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে দেশটির লাভজনক পোশাকশিল্পে ধস নামবে, মিয়ানমারের বহু পোশাককর্মী তাঁদের চাকরি হারাবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনে গত মাসে মিয়ানমারের বাণিজ্য সুবিধাগুলো পর্যালোচনা করতে বলা হয়। আর পর্যালোচনা শেষে নিষেধাজ্ঞা আরোপ পর্যন্ত ছয় মাস সময় লেগে যেতে পারে। এর মধ্যে মিয়ানমার যদি মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশানুরূপ কিছু করে দেখাতে পারে, তবে ইইউর এ সব ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্তে পরিবর্তনও আসতে পারে।

তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যিক নীতিনির্ধারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউরোপীয় কমিশনের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাওয়া বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর স্বার্থের বিষয়টিও তারা দেখছেন।

অবশ্য ইউরোপীয় কমিশনের অভ্যন্তরে এ ধরনের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরস্পরের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। কারণ এ সব নিষেধাজ্ঞায় সাধারণ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে বলে মনে করছেন দ্বিমত পোষণকারীরা। তবে কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদ জাঙ্কার এখনও এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেননি।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় কোম্পানি এর আগেই নিজ উদ্যোগে মিয়ানমার থেকে পোশাক নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের’ হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান। এ ঘটনায় দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, গুমসহ আরও বেশকিছু অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে শুরু হয় বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢল। গত এক বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও কয়েক দশকের অনুপ্রবেশে এই মুহূর্তে এখানে রয়েছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা।

সূত্র: রয়টার্স

একে//