রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে কারি পাতা
প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ঝোল থেকে শুরু করে কারি, স্ট্যু সবেতেই কারি পাতার ব্যবহার আছে। এর অন্যতম কারণ হল এর বিশেষ সুবাস ও স্বাদ। কারি পাতার বিজ্ঞান সম্মত নাম হল মুরায়া কোয়েনিগি স্প্রেং। কারি পাতা সাধারণত ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলেই পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম ও তামার মতো পুষ্টিপদার্থের ভাণ্ডার। কারি পাতার মধ্যে থাকা ফাইবার ওজন হ্রাস, পাচন ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বক এবং চুলের সমস্যার জন্য উপকারী। কারি পাতার ডিটক্সিকেশন বৈশিষ্ট্যটিও চমৎকার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্টিডায়াবেটিক হিসেবে এই পাতা বিখ্যাত। এখানে জেনে নিন কীভাবে কারি পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
কারি পাতা ফাইবার সমৃদ্ধ। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করে দেয়। দ্রুত হজম হয়ে যায় না যার ফলে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ইনসুলিন ক্রিয়াকলাপকে প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করতে কারি পাতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর যদি ইনসুলিনে ভালো সাড়া দিতে সক্ষম হয় তাহলে আপনার রক্ত শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সের একটি আন্তর্জাতিক জার্নাল- ডাই ফার্মাইজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী এই পাতার হাইপারগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য দেখানো হয়েছে। ডায়াবেটিক ইঁদুরের রক্তে গ্লুকোজ স্তর নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী হতে দেখা গেছে এই পাতাকে। ভারতীয় গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেখা যায়, ত্রিশ দিন ধরে রোজ এই পাতার ২০০ মিলিগ্রাম/ কেজি/বি.ডব্লিউ উল্লেখযোগ্যভাবে রক্তে গ্লুকোজ, গ্লাইকোসাইলেটেড হিমোগ্লোবিন, ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড ও ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমিয়ে দেয় ডায়াবেটিক পশুদের মধ্যে।
আপনি ৮-১০টা তাজা কারি পাতা খেতে পারেন, রস করতে পারেন। আপনার খাবার এবং স্যালাডে যোগ করতে পারেন।
সূত্র: এনডিটিভি
একে//