হবিগঞ্জ ৫২৬টি মন্ডপে মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় জেলায় ৫২৬টি পূজা মন্ডপে এখন চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। প্রতিটি মন্ডপেই মূর্তিগুলোকে রংতুলি দিয়ে সাজানো হচ্ছে। প্রতিমা তৈরীর পরপরই চলবে রংয়ের কাজ। কারিগররা কাজ করে মূর্তি তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঢাকের কাঠি ও ঢোল বেজে উঠলেই ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়েই আগামী ১৫ অক্টোবর শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হবে।
নরসিংদীর পাচদোনা থেকে হবিগঞ্জে কাজ করতে আসা কারিগর রঞ্জিত পাল জানান, যত দিন ঘনিয়ে আসছে ততো কারিগরদের ব্যস্ততা বাড়ছে। তিনি বলেন, এখন দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। কেননা পূজার আগেই সব মূর্তি তৈরী করতে হবে।
একই এলাকার কারিগর নীরেন্দ্র পাল জানান, দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাজ করেও কাজ শেষ করতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। খাওয়া দাওয়া নেই। শুধু কাজ আর কাজ করতে হচ্ছে। দিনরাত কাজ করে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক স্থানে মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এখন রংতুলির কাজ করতে হবে। আবার অনেক স্থানে রংতুলির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
হবিগঞ্জ শহরের দেয়ানত শাহ বাড়ির পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুপুর রায় জানান, হবিগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গা। এখানে কোন ধরনের সমস্য হয় না। তবে আমাদের দাবি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও প্রশাসন সঠিক দায়িত্ব পালন করলে এবার প্রতি বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণভাবে সার্বজানীন পূজা উদযাপন করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় জানান, প্রতিটি পূজা মন্ডপ নিজেদের কাজকে আকর্ষনীয় করতে সকলেই চেষ্টা করেন। পূজা মন্ডপে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সরকারী সহায়তা পাওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে এখনই পূজার আমেজ বিরাজ করছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, এবারের পূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আয়োজক কমিটির স্বেচ্ছাসেবক ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় শান্তিপূর্নভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন কেউ যদি নাশকতার চেষ্টা করে তাহলে পুলিশ অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এসি