ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আঙুল নিয়ে দু:শ্চিন্তায় সাকিব

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০১:০৫ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার

বিশ্বের সেরা অল রাউন্ডার, টিম টাইগারদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সাকিব ভক্তদের জন্য খারাপ সংবাদ। আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না সাকিব আল হাসানের সেই আঙুলটি। অসচেতনতার কারণে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে এই ক্রিকেট তারকা। নিজেই জানালেন এসব খবর।

শুক্রবার রাতে আঙুলের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে বিমান বন্দরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ তথ্য জানান সাকিব।

আঙুলের অবস্থা ডাক্তারকে দেখানোর জন্য শুক্রবার রাতেই অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে উঠেছেন তিনি। পাঁচদিন সেখানে থেকে ফিরে আসবেন। ইনফকেশন জিরোতে নেমে আসলে অস্ত্রোপচার করার জন্য এরপর আবারও যাবেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার সময়ই আঙুলের ইনজুরিতে পড়েন সাকিব। এরপর বেশ কিছুদিন খেলার বাইরে ছিলেন তিনি। আঙ্গুলের চিকিৎসা করিয়ে মাঠে ফেরেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার সময়ই জানা গেছে, পুরোপুরি সুস্থ হতে তাকে আঙ্গুলে অস্ত্রোপচার করাতে হবে।

সাকিব চেয়েছিলেন এশিয়া কাপ না খেলে অস্ত্রোপচার করে ফেলতে। কিন্তু বিসিবি সভাপতি চেয়েছিলেন সাকিব এশিয়া কাপটা খেলুক। যদিও তিনি সিদ্ধান্তের ভার সাকিবের ওপর ছেড়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ফিজিওর রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই সাকিব এশিয়া কাপ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাথা নাশক ইনজেকশন দিয়ে এবং ঔষধ খেয়ে সাকিব এশিয়া কাপ খেলে যান।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেননি। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগেই আঙ্গুলের ব্যাথা এতটাই তীব্র হয় যে তিনি ব্যাটই ধরতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত সে অবস্থায়ই দেশে ফিরে আসেন সাকিব। খেলতে পারেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ এবং ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল।

দেশে আসার পর ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হলে বুঝতে পারেন, মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেছে। সংক্রমণ এতটাই হয়েছে যে, পুরো আঙুল পুঁজে ভরে গেছে। অস্ত্রোপচার করে আগে সেই পুঁজ বের করা হয়। সাকিব শঙ্কা প্রকাশ করেন, আরেকটু হলেই সেই সংক্রমণ হাতের কব্জি ধরে ফেলতো এবং পুরো হাতই নষ্ট হয়ে যেতো।

তবুও, আগে সংক্রমণ কমাতে হবে এবং এরপর অস্ত্রোপচার করে ভাঙ্গা হাঁড় ঠিক করতে হবে। এ জন্য অন্তত তিনমাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে সাকিবকে।

এসএ/