নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চিংড়ি পোনা আহরণ চলছে মেঘনা নদীর উপকূলে
প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ১১:২৩ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৬ শুক্রবার
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মশারী জাল নিয়ে অবাধে চিংড়ি পোনা আহরণ চলছে মেঘনা নদীর উপকূলে। ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম, রেনু ও পোনা। এতে নদীটিতে এখন আর আগের মত মাছ না পাওয়ায় সংকটে পড়েছেন জেলে আর মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, পোনা নিধন বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
নোয়াখালীর হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচরে মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার জুড়ে ধরা হচ্ছে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা।
এ মৌসুমে নদীটিতে এসেছে বিভিন্ন মাছের রেনু পোনা। এ সুযোগে জালের ফাঁদে ধরা হচ্ছে গলদা আর বাগদা চিংড়ির পোনাসহ ইলিশের ডিম, কোরাল, বোয়াল, প্ঙ্গাাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা। প্রতি দশহাত পরপরই বসানো এসব ফাঁদ ৩ ঘন্টা পরপর তোলা হয়। এরপর কেবল বাগদা ও গলদার পোনা আলাদা করে রেখে বাকী ডিম, পোনা ও রেনু ফেলে দেয়া হয় তীরে।
প্রতি শত পোনা বিক্রি করা হয় ৪০থেকে ৫০টাকায়। এখান থেকে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন ঘেরে এ পোনা বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
এভাবে রেনু পোনা আহরন করতে থাকলে অচিরেই নদী মাছশূন্য হয়ে পড়বে এমন আশংকা স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ এ বিষয়ে প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা।
তবে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তা জানান, রেনু পোনা যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যপারে জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে।
যে সময়ে মাছ পোনা ছাড়ে তখন জেলেদের বিকল্প কর্মস্থানের ব্যবস্থা করা হলে এ রেনু নিধন বন্ধ সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।