আবাস ভারতে খাবার খায় চীনে
প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:৪৭ এএম, ৯ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার
পৃথিবীতে অনেক অবাক করা ঘটনা ঘটে থাকে। সবচেয়ে মজার দেশ মনে হয় ভারত! কারণ এ দেশের সংস্কৃতি ভিন্ন রকম। রয়েছে বৈষম্য অন্য দেশের চেয়ে একটু বেশিই মনে হয়। উত্তরাখন্ডের বৈস্য উপত্যকার ধরচুলা গ্রামের কিছু লোক চীন থেকে খাবার সংগ্রহ করে খেয়ে থাকেন। এ গ্রামে প্রায় চারশ’ পরিবার।
গ্রামের সিংহভাগ মানুষের অভিযোগ, রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার গ্রামের নাগরিকদের প্রতি এতটাই উদাসীন যে সেখানে রেশনের দোকান থাকলেও তাদের জন্য বরাদ্দ সামগ্রীর পরিমাণ অতি অল্প। ফলে নেপাল ঘুরে যে চীনা পণ্য আসে, তারা সেটাই কিনতে বাধ্য হন। আর দীর্ঘদিন ধরে তারা এটাই করে আসছেন।
শুধু ধরচুলাতেই নয়, উপত্যকার সীমান্তবর্তী সব আদিবাসী গ্রামেই ঠিকমতো রেশন দিচ্ছে না ভারত বলে ওই সব গ্রামের বাসিন্দরা অভিযোগ করছেন। বাধ্য হয়ে সীমান্তের কালি নদীর ব্রিজ পার হয়ে নেপালের টিঙ্কার ও ছাংরু মার্কেটে গিয়ে চাইনিজ খাবার কিনে আনছেন গ্রামবাসীরা।
বৈস্য উপত্যকার আদিবাসী নেতা কৃষ্ণা গারবিয়াল জানান, আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী রাজ্য সরকার রেশন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই রেশনের অভাবে গ্রামবাসী নেপালের মার্কেট থেকে চীনা খাবার কিনে এনে খাচ্ছেন। উপত্যকার মাটিতে ঠিকমতো ফসল হয় না। তাই গ্রামবাসীকে সরকারের দিকে চেয়ে থাকতে হয়।
চীনা পণ্যই আমাদের ভরসা। চাল, ডাল, তেল এমনকি সাবানও আমরা চীনের থেকেই কিনি। শুধু আমাদের গ্রাম নয়, আশপাশের আরও সাতটি গ্রামেও একই অবস্থা।’নবিয়াল নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘সরকার পরিবারপ্রতি ২ কিলোগ্রাম চাল আর ৫ কিলোগ্রাম গম দেয়।
তাই সীমান্তের এসব গ্রামের মানুষের জীবনটা এমনই হয়ে দাড়িয়েছে যে, ভারতে থেকে পণ্য কিনতে হয় চীনা। এটা ছাড়া তাদের উপায় নেই বলেও কয়েকজন বাসিন্দা জানান।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
এসএইচ/