ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৬ শনিবার

আজ ১২ ভাদ্র সাম্য আর বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী । বাঙালী মণীষার এক তুঙ্গীয়  নিদর্শন নজরুল। যৌবনে যুদ্ধযাত্রা, সাংবাদিকতা, রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টতা, সবমিলিয়ে বৈচিত্র্যময় ছিল জাতীয় কবির জীবন। কবির নাতি সূবর্ণ কাজী নজরুলের মানবতার দর্শন সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও কাজী নজরুল ইসলাম মুলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বিদ্রোহী এই কবির সাহিত্যকর্মে  প্রাধান্য পেয়েছে ভালোবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। শুধু বাংলা শব্দভান্ডারই নয়, বাংলা কাব্যে কবি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। নজরুল একাধারে সিদ্ধ ছিলেন আরবী-ফারসি শব্দের নিপুণ ব্যবহারে। রচনা করেছেন গজল এবং শ্যামা সংগীত। নজরুলের প্রথম গদ্য বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ বর্ধমানের চুরুলিয়ায় জন্ম হয় নজরুলের। সংসারের অভাব-অনটন, ছেলেবেলাতেই তাঁকে ঠেলে দেয় জীবিকার লড়াইয়ে। একদিকে মসজিদ, মাজার ও মক্তব জীবন, অপর দিকে লেটো দলের বিচিত্র অভিজ্ঞতা নজরুলের সাহিত্যিক জীবনে প্রভাব ফেলে। সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার  ছিলেন নজরুল। ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে তাকে যেতে হয় কারাগারে। তবে শুধু বিদ্রোহ নয়, প্রেম নিয়েও অনন্য গাণ-কবিতা লিখেছেন নজরুল। বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে তার বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরপ ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। পান একুশে পদকও। ১৯৪২ সালে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন নজরুল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। মর্যাদা দেন জাতীয় কবি’র। বাংলা ১৩৮৩ সালের এই দিনে চিরনিদ্রায় শায়িত হন সবার প্রিয় কবি। সমাহিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে।