কোরবানীর পশুর মোটা তাজাকরণ, মানবদেহে বিষক্রিয়ার আশংকা
প্রকাশিত : ০৫:৩৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৫:৩৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৬ শনিবার
কোরবানীর পশুর ৭০ শতাংশ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় মোটা তাজাকরণের ফলে তা গ্রহণে মানবদেহে বিষক্রিয়ার আশংকা করছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবা। ঈদ সামনে রেখে হাটে এসব পশু আনার আগেই খামারগুলো চিহ্নিত করে পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সর্বশেষ হিসেব মতে, ২০১২ সালে গরু কোরবানী সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ এবং ছাগল ৫০ লাখ। এ বছর সব মিলিয়ে এর সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবা।
সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে এক আলোচনায় উঠে আসে, প্রতিবছর ঈদকে সামনে রেখে যে পরিমান পশু কোরবানী হয় তার প্রায় ৭০ শতাংশই অতিরিক্ত স্টেরয়েড জাতীয় রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় মোটা তাজা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব পশুর মাংশ মানবদেহে কিডনী, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ সহ বহুমূখী ব্যাধির সৃষ্টি করে।
অনুমোদনহীন এসব ক্ষতিকর ও নিষিদ্ধ ওষুধ আমদানী ও বিতরনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে সংগঠনটি।
কোরবানীর বিশুদ্ধতা ও পবিত্রতা রক্ষা করতে বিষমুক্ত পশু সরবরাহ নিশ্চিতের দাবী পবার।