ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে এই খাবারগুলো

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

স্তন ক্যানসার বৃদ্ধির মূলে রয়েছে মানুষের বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা। বেশি বয়সে বিয়ে হওয়া, স্বেচ্ছায় মা না হওয়া, সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, অত্যধিক জন্মনিরোধক নেওয়া, বসে বসে কাজ করাও স্তন ক্যানসার হওয়ার জন্য দায়ী। এছাড়া স্তন ক্যানসারের জন্য ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে জন্মগত কারণও দায়ী।

তবে মনে রাখবেন, স্তন ক্যানসার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে পুরোপুরি সেরে ওঠা সম্ভব। ক্যানসার প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে সার্জারির পরে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি বা হরমোনাল থেরাপি করা হতে পারে। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে যা খাবেন-

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অকালবার্ধক্য রোধ করা। স্তনও এর ব্যতিক্রম নয়। ব্রকলি, ফুলকপি, চীনা বাধাকপি স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেই জন্যে নিজের ডায়েট থেকে এগুলো একেবারে বাদ দেবেন না। 

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পেশী দৃঢ় করতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের জন্য উপকারি কোলাজেনও প্রোটিনে থাকে। নিটোল স্তনের জন্যে প্রত্যেকটি মিলেই কিছু না কিছু প্রোটিন উপাদান থাকা জরুরি। 

গমের আটার রুটি

বাদামী চাল, সম্পূর্ণ গমের আটার রুটি, সম্পূর্ণ গমের সিরিয়ালে আঁশ উপাদান বেশি, সেজন্যে শরীরের ইস্ট্রোজেন লেভেল কমিয়ে এনে স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে। 

ফল

দিনে অন্তত ৫-৭ বার ফল খান। ফলে থাকে ফাইটোকেমিক্যাল, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

কম ক্যালরিযুক্ত খাবার

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খান। চর্বিজাতীয় ও মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। 

ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার

স্তন ক্যানসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার, কমলালেবু, মুসাম্বি, আঙুর, ভিটামিন সি যুক্ত ফল, পাকা আম, পাকা পেঁপে, হলুদ, রসুন ইত্যাদি উপকারি। 

রঙিন সবজি

সবুজ সবজি প্রচুর পরিমাণে খাবেন, তবে সবজিগুলো গরম পানিতে আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। রঙিন সবজি যেমন কুমড়া, গাজর, বরবটি, শিম, লাউ খাবেন। 

কমলা এবং হলুদ রঙের খাবার

কমলা এবং হলুদ রঙের খাবারে বেশি মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা সুঠাম, সুন্দর স্তন গঠন করতে সহায়ক। 

বেশি করে পানি পান করুন

প্রচুর পানি খান। কাঁচা লবণ, প্রিজারভেটিভ যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। শরীরের ওজনের অনুপাতে চর্বি ও আমিষ খাওয়া উচিৎ। যত কেজি ওজন তত গ্রাম চর্বি ও আমিষ নিতে হবে। 

একে//