আশা করেছিলাম তারেক রহমানের ফাঁসি হবে: জজ মিয়া
প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৬:৪৯ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জজ মিয়া বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম তারেক রহমানের ফাঁসি হবে, কিন্তু তাকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। ১৪ বছর পর রায় হয়েছে। আমি চাই রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।’
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরও বলেন, যেহেতু রায়ে তারেক রহমানের ফাঁসি হয়নি এখন রাষ্ট্রপক্ষ হয়তো উচ্চ আদালতে আপিল করবে। উচ্চ আদালতের রায়ে তারেক রহমানের ফাঁসি হোক এটাই আমার চাওয়া।’
এর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করে। বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার পর ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের কালিমন্দির সংলগ্ন রাজা মিয়ার চা দোকান থেকে জজ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সে জবানবন্দিতে প্রধান কুশীলবদের নাম না আসায় দেশজুড়ে শুরু হয় নিন্দার ঝড়। গণমাধ্যম এটিকে ‘জজ মিয়া নাটক’ হিসেবে অভিহিত করে। ২০০৮ সালে তাকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। পরে আদালত এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।
এসি