১২শ বছর আগে শিক্ষা-দীক্ষা আর জ্ঞান বিস্তারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা গড়ে তুলেছিলো বেশ কিছু বিহার
প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৩:২৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৬ শনিবার
প্রায় বারশ’ বছর আগে এই অঞ্চলে শিক্ষা-দীক্ষা আর জ্ঞান বিস্তারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা গড়ে তুলেছিলো বেশ কিছু বিহার। এ’সব বিহারের মধ্যে নওগাঁর বদলগাছীর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার অন্যতম। আয়তনে এটি ভারতের নালন্দা মহাবিহারের প্রায় সমান। ৩শ’ বছর ধরে বৌদ্ধদের ধর্ম চর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই বিহারটি।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহারের এই ধ্বংসাবশেষ কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে।
ঐতিহাসিকদের মতে, পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করেছিলেন। ৪ দশমিক ৪ মিটার চওড়া প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত বিহারটিতে ১৭৭টি কক্ষ রয়েছে। জানালার পরিবর্তে কুলঙ্গী ও টানা বারান্দা দেয়া কক্ষগুলোতে বসবাস এবং জ্ঞান চর্চা করতেন ভিক্ষুরা। বিহারের কেন্দ্রস্থলের মন্দিরটি বিরাট অট্টালিকার মতো।
পাল বংশের পতনের পর বিহারটি পরিত্যক্ত হয় পড়ে। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিহার আবিস্কার করেন। প্রত্মতাত্ত্বিকরা ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৪ সালে বিহারের খনন কাজ শেষ করেন। ১৯৮৫ সালে সোমপুর বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
চীন, তিব্বত, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধরা এখানে আসতেন ধর্মচর্চা অর্জন করতে। খ্রিষ্টীয় দশম শতকে এই বিহারের আচার্য ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।