ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আদার আছে অনেক গুণ

প্রকাশিত : ০৬:৩৭ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

নানা রোগ-ব্যাধিতে মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন; বিপদ বরং বাড়ছে, কমছে না! আথচ হাতের কাছেই রয়েছে মহৌষধ। সেটি হলো, কাঁচা আদা। একটুকরো কাঁচা আদা হাজারো রোগ-ব্যাধির মুক্তিদাতা। জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, খাওয়ার অনিচ্ছা থেকে শুরু করে `হাত-পায়ে জোড়ায় ব্যথা`- সব কিছু থেকেই মুক্তি দেয় কাঁচা আদা। এক টুকরা কাঁচা আদাই যেন শরীরের রোগজীবাণু বেঁধে ফেলে। আসুন জেনে নেয়া যাক আদার আরও কিছু গুণাগুণ সম্পর্কে-

পেটের পীড়ায়
পেটের অস্বস্তি বা পীড়ায় আদা একটি আদর্শ পথ্য। হজমে সহায়তার পাশাপাশি খাবারের গুণাগুণ শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে আদা। কিছু খাওয়ার পর পেটব্যথায় ভোগার সমস্যা হলে তা দূর করে আদার রস। পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও প্রতিরোধ করে এটি।

ফুসফুসের জন্য উপকারী
ফুসফুসের সাধারণ যে কোন সংক্রমণ বা রোগের ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী। সর্দি- কাশি, শ্বাস- প্রশ্বাসের সাধারণ সমস্যা দূর করে আদা। গলা ও স্বরতন্ত্রী পরিষ্কার রাখে।

১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে
১০০ গ্রাম আদায় আছে ৮০ ক্যালরি শক্তি, কার্বোহাইড্রেট ১৭ গ্রাম, ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম, পটাশিয়াম ৪১৫ মিলিগ্রাম এবং ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস।

ব্যথানাশক
অসটিও আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জোড়ায় প্রচুর ব্যথা হয়। এই ব্যাথা দূর করে আদা। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদা এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী, এতে আদার পুষ্টিগুণও বেশি থাকে। শরীরের যেকোন ধরনের ব্যথাতে আদা টনিকের মতো কাজ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আদা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা লুকানো জীবাণুকে ধ্বংস করে।

ক্ষত শুকাতে
দেহের কোথাও ক্ষত থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, যা কাটাছেঁড়া, ক্ষত দ্রুত ভালো করে।

হার্ট ভালো রাখে
রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতে আদা খুবই কার্যকর।

মাইগ্রেন, ডায়াবেটিস ইত্যাদিতে
মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা। গর্ভবতী মায়েদের সকাল বেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা দূর করে এ সমস্যা।

রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে
পরিমিত আদা খাওয়ার অভ্যাসে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়। আদায় রয়েছে ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক। এসব উপাদান রক্ত প্রবাহের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে।

বমিভাব দূর করে
যানবাহনে চড়ার সময় কেউ কেউ অস্বস্তিতে ভোগেন বা কিছুক্ষণ গাড়িতে থাকার পর বমি চলে আসে। বমি বমি ভাব দূর করতে আদার ভূমিকা অপরিহার্য। বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি তাৎক্ষণিক উপকার মেলে। আর এতে মুখের স্বাদও বাড়ে।

ঠাণ্ডা-জ্বরে আদা
ঠাণ্ডা লাগা ও ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে আদা বিশেষ ভূমিকা রাখে। আদার রস একটু গরম করে সমপরিমান মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খেলে ঠাণ্ডা লাগা ও ভাইরাস জ্বর সেরে যায়।