ভারতে তিতলির আঘাতে ৮ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ১২ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার
পূর্বাভাস মতো বৃহস্পতিবার ভোরে ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়েই আট জনের প্রাণ কাড়ল ঘূর্ণিঝড় তিতলি। মৃতদের মধ্যে ছ’জন মৎস্যজীবী। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের। প্রবল হাওয়া ও লাগাতার বৃষ্টিতে তছনছ ওড়িষ্যা ও অন্ধ্রের বড় অংশ। গাছ উপড়ে বন্ধ রাস্তাঘাট। ভেঙে পড়েছে কয়েক হাজার বিদ্যুতের খুঁটি। লাইন ছিঁড়ে বন্ধ টেলি-যোগাযোগ। সব মিলিয়ে স্তব্ধ জনজীবন।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, মৃতেরা অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম ও বিজয়নগরম জেলার বাসিন্দা। শ্রীকাকুলামে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধার। বাড়ি চাপা পড়ে সেখানে মারা গেছেন ৫৫ বছরের এক ব্যক্তিও।
গোপালপুরের দক্ষিণ-পশ্চিমে শ্রীকাকুলামের পালাসায় আছড়ে পড়ে তিতলি। সঙ্গে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি। প্রবল দুর্যোগের মুখে পড়ে উত্তর উপকূলীয় তিন জেলা- শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম ও বিশাখাপত্তনম। অন্ধ্রের গোদাবরী জেলার উপারায় বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেছে সমুদ্রের পানি। শ্রীকাকুলামে গাছ পড়ে বন্ধ রাস্তাঘাট। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় অন্ধ্রের অন্তত সাড়ে চার হাজার জেলা ও ছ’টি শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়েছে। জেলার প্রশাসনিক প্রধান কে ধনঞ্জয় রেড্ডি বলেছেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, ৬-৭ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েছে। তার মানে ৪-৫ লাখ মানুষ অন্ধকারে।’ ক্ষতির খতিয়ান এখনও সম্পূর্ণ বোঝা যায়নি বলে জানান তিনি।
ওড়িশায় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে গঞ্জাম, গজপতি, খুরদা, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপড়া, ভদ্রক ও বালেশ্বর জেলা। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গজপতি। সেখানকার প্রায় তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়েছে সরকার। মু্খ্যমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে গোদাবরীর কাকিনাড়া থেকে যে ৬৭টি মাছ-ধরা নৌকা সমুদ্রে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৬৫টি ফিরে এসেছে। বাকি দু’টির খোঁজ চলছে।
যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তার। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওড়িষ্যার কোনও কোনও এলাকায়। মুখ্যসচিব এ পি পাধি বলেছেন, ‘পশ্চিমের কিছু অংশ ছাড়া গোটা রাজ্যেই কম-বেশি বৃষ্টি হতে পারে। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//