ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৯:০৩ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ। ‘কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

আজ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব দুর্যোগ বাড়ছে। পাশাপাশি রয়েছে অগ্নিকাণ্ড ও দূষণজনিত মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ মোকাবেলা ও তার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসমূলক কর্মসূচি প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনিই প্রথম মুজিব কিল্লা নির্মাণের মাধ্যমে দুর্যোগে জনগণের জানমাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান `ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)` প্রতিষ্ঠা করেন, যা দুর্যোগ সতর্কবার্তা প্রচার ও সাড়াদান কার্যক্রমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ত্রাণ গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে `টকশো`, সড়কদ্বীপ সজ্জা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি রয়েছে।

এসএ/