ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

এতিমখানার নামে চাঁদাবাজি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৫:২৬ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার

মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি আর সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে, নাম পরিচয়হীন এতিমখানার নামে চাঁদাবাজী করছে এক শ্রেণীর মানুষ। পথশিশু, বস্তি কিংবা ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদনসহ বিভিন্ন সেবার কথা বলেও টাকা আদায় করছে এক শ্রেনীর সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা। এভাবে সেবার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে টাকা।

এ’বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে রাত ১০টায় একুশের চোখ অনুষ্ঠানে।

মানুষের অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা এতিমখানার নামে একশ্রেণীর প্রতারক নিয়মিত টাকা আদায় করছে। লিফলেট বা রিসিটে নাম থাকলেও অনুসন্ধানে অনেক প্রতিষ্ঠান খুঁজেই পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেল গেট, সাত রাস্তার মোড়, তেজগাঁও, বিজয় সরণী, পান্থপথ, বনানী, মহাখালীসহ বিভিন্ন মোড় বা সিগনাল ও হাতিরঝিলে দিন রাত চলে এ’ধরণের চাঁদাবাজি।

রাজধানীর অন্তত দশটি স্পটে চলে পন্থিশাহ মাদ্রাসার নামে টাকা আদায়। কিন্তু মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী নিজ খরচে লেখাপড়া করে।

অন্যদিকে, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা, খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন কাজের নামে আধুনিক পদ্ধতিতে চাঁদাবাজি বা ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যস্ত কিছু তরুন-তরুনী। সমাজ সেবার নামে চলে এই চাঁদাবাজী।

রাজধানীতে যে’সব সমাজকল্যাণ নামধারী ভুয়া প্রতিষ্ঠান সেবার নামে মানুষের সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো:- পুরানা পল্টনের ফিউচার বাংলা সমাজকল্যাণ সংস্থা। মিরপুরের প্রথম আলো দিশারী, শান্তিনগরে চিলড্রেন কেয়ার, ফার্মগেটে খুকুমনি সমাজকল্যাণ সংস্থা, মিরপুরের মুক্ত আলো ফাউন্ডেশন, ফার্মগেটে ডাক্তার বাড়ী ফাউন্ডেশন, মিরপুরে পরশ পাথর, ধানমন্ডিতে অস্তিত্ব চিত্র পাঠশালা, মৈত্রী ফাউন্ডেশন ও ড্রিম বিচ হিউম্যান এসোসিয়েশন।

সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নামে টাকা উত্তোলন করে ইচ্ছামত ভাগ বন্টন করে নিচ্ছে এসব অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান।

সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে এভাবে চাঁদাবাজির সুযোগ আছে কী-না, তা জানাতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা।

এনজিও, মাদ্রাসা বা এতিমখানার নামে টাকা তোলা আইনের পরিপন্থি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।