ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার ৬

প্রকাশিত : ০৫:০৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৬:১৪ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত `ঘ` ইউনিটের প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারক চক্রের অজ্ঞাত আরও কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান নিশ্চিত করছেন। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, সিআইডির সাইবার ক্রাইম টিমের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। গতকাল শনিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় সিআইডি পুলিশের এসআই রঞ্জন বিশ্বাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় ও গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জাহিদুল ইসলাম (৪৫),ইনসান আলী রকি (১৯), মোস্তাকিম হোসেন (২০), সাদমান সালিদ (২১), তানভির আহমেদ (২১), আবু তালেব (১৯)। এদের সবার বাড়ি বগুড়া জেলায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল হাসান গতকাল তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বগুড়ার রাহেমা কম্পিউটার সেন্টারের সাব্বির হোসেন রানা ও জলেশ্বরী তলার কালীবাড়ী মোড়ের গুগল অ্যাডমিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের লাহেদুজ্জামান লিমনসহ প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক ও কর্মীরা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত।
তারা প্রশ্নফাঁস করে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ইনসানকে দেয়। পরে তারা এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলোতে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাবি `ঘ` ইউনিটের প্রশ্নপত্রসহ বিভিন্ন ব্যক্তির আইডিতে এই প্রশ্নপত্র পাঠানোর ছবি ও প্রবেশপত্র, রোল নম্বর পাওয়া যায়।

এই চক্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র এবং বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা স্থানান্তর করে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ করে আসছে। আটক সবাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২ (২), ৩৩(২) ধারা সহ পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ১৩/৪ ধারায় অপরাধ করেছে। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে শনিবার রাতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জাহিদ বিষয়টি স্বীকার করেছে।

টিআর/