বাকৃবি’র গবেষণা
হলুদ রং ও দুর্গন্ধের কারণে পাঙ্গাস খাওয়া কমেছে
প্রকাশিত : ০৫:৫৩ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার
ভিয়েতনাম পাঙ্গাস রফতানির মাধ্যমে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে তাদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। অথচ একোয়াকালচারভিত্তিক মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম। তাই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাঙ্গাসের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও রফতানি প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়ছে দেশ। এর কারণ অনুসন্ধ্যানে সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক গবষেণা চালায়।গবেষণায় বিশ্বে বাংলাদেশের পাঙ্গাস না খাওয়ার কারণ হিসেবে এর মাংসে হলুদ রং ও দুর্গন্ধকে দায়ী করছেন।
আজ রোববার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগের আয়োজনে পাঙ্গাস মাছের দুর্গন্ধ এবং মাসেলের হলুদ রং এর কারণসমূহ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সেমিনার এর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিএইচডি গবেষক শেখ রাজিবুল ইসলাম। রাজিবুল বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক ও কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিল ও জি জরজেনসন এর তত্ত্বাবধানে গত ৩ বছর ধরে এ বিষয়ে গবেষণা করে আসছেন।
রাজিবুল জানান, মাছের দুর্গন্ধের জন্য মূলত পানির গুণগত মান এবং মাসেল হলুদ রঙের জন্য খাদ্যের উপকরণ দায়ী। খাবারের মধ্যে থাকা Zeaxanthin এবং Lutein নামক দুটি রাসায়নিক উপাদান মূলত হলদে রং এর জন্য দায়ী। খাদ্যে ব্যবহৃত ভুট্টা ও খৈল এ দুটি রাসায়নিকের প্রধান উৎস।
গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে খুব শিগগিরই গুণগত মান সমৃদ্ধ পাঙ্গাস মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে এবং বহির্বিশ্বে রফতানি পথও সুগম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একোয়াকালচার বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, পিএইচডি গবেষক ও মাস্টার্স ছাত্র-ছাত্রীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরকে//