ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

সুভাষ ঘাই আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায়: কেট

প্রকাশিত : ০৬:২৮ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার

এবার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলো চলচ্চিত্র পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে । সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে তার নাম আসার পাশাপাশি শনিবার মুম্বাইয়ের ভারসোভা থানায় তাঁর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রী মডেল কেট শর্মা।

এখানে কেট এর অভিযোগ করে বলেছেন, সুভাষ ঘাই তাঁকে জড়িয়ে ধরে জোরজবরদস্তি করে চুমুও খেতে চেষ্টা করেন এবং তাঁকে দিয়ে মাসাজও করিয়েছিলেন।

লিখিত অভিযোগে কেট জানিয়েছেন, ঘটনাটি এ বছর ৬ অগাস্ট। পরিচালক সুভাষ ঘাই তার বাড়িতে রাতের বেলা একটি পার্টিতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। বাড়িতে পরিচালক ছাড়াও আরও ৬ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। আচমকা সুভাষ ঘাই তাঁর শরীর মাসাজ করতে বলেন। এই কথা শুনার পর প্রথমে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কেট। প্রথমে রাজিও হননি। কিন্তু সুভাষ ঘাইয়ের অভিজ্ঞতা এবং বয়সকে সম্মান জানাতে প্রস্তাবে রাজি হন তিনি। দু`তিন মিনিটের জন্য তাঁকে মাসাজ দেন ওই মডেল।

তিনি অভিযোগে আরও বলেন, উপস্থিত অন্যদের সামনেই তাঁকে মাসাজ করতে বাধ্য হন তিনি। তারপর হাত ধুতে বাথরুমে গেলে। সেখানেও আমার পিছু নিয়ে হাজির হয়ে যান তিনি। এরপরে পরিচালক আমাকে বলেন, তাঁর কিছু বলার আছে। আমাকে জড়িয়ে ধরেন, চুমু খাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। আমি তাঁর হাত ছাড়িয়ে বাথরুম থেকে বার যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন হুমকি দিয়ে বলেন, যদি তাঁর সঙ্গে রাত না কাটাই তাহলে আমাকে কাজের সুযোগ দেবেন না।’

এই অভিযোগ হওয়ার কিছু পরই টুইটে প্রতিক্রিয়া জানান সুভাষ ঘাই। টুইট করেন, ‘#মিটু-র আমিও একজন সমর্থক। কেউ যদি এর সুযোগ নিয়ে আমার বদনাম করতে চান, আমার কাছে সেটা খুবই দুঃখজনক। যাই হোক আমার আইনজীবীরাই এর উত্তর দেবেন।’

সুভাষ ঘাইয়ের নামে এর আগেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল বলিউডে। সম্প্রতি সুভাষ ঘাইয়ের নামে অন্য এক মহিলাও যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, সুভাষ ঘাই তাঁর পানীয়তে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। ৭৩ বছরের এই পরিচালক অভিযোগও অস্বীকার করে টুইট করেছিলেন, ‘#মিটু মুভমেন্টে যে কোনও কারও নাম জড়িয়ে দেওয়াটা এখন একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সত্যতা যাচাই না করেই অতীতের কিছু ঘটনা হঠাৎ সামনে নিয়ে আনছেন কেউ কেউ। আমার বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ (সুত্রঃ আনন্দবাজার)

কেআই/