ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

আর টাকা দেব না ক্যাথরিনকে: রোনালদো

প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার

ধর্ষণের শিকার মার্কিন মডেল ক্যাথরিনকে আর টাকা দেবেন না পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত নতুন করে শুরু হওয়ার পর একথা বললেন সিআর সেভেন।

সম্প্রতি বোমা ফাটিয়েছে জার্মানির বিখ্যাত পত্রিকা ডার স্পাইগেল। সংবাদমাধ্যমটির ভাষ্য, রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন সাবেক মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা। ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেন পর্তুগিজ যুবরাজ।

২০১০ সালে আদালতের বাইরে অর্থের বিনিময়ে তা মিটমাট করে ফেলেন তারা। ওই সময় বর্তমানে শিক্ষকতা করা সেই নারীকে ২ কোটি ৭৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৫ টাকা দেন হালের ফুটবল মহাতারকা।

তবে বিষয়টি গোপন রাখতে রোনালদোর সঙ্গে করা চুক্তিকে এখন গুরুত্বহীন মনে করছেন ক্যাথরিন। তাই ফের তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। নতুন করে তদন্তে নেমেছে লাস ভেগাস পুলিশ।

কিন্তু এবার বেঁকে বসেছেন ৩৩ বছর বয়সী ফুটবলার। সাফ জানিয়ে দিলেন, ক্যাথরিনকে আর কোনো টাকা পয়সা দেবেন না তিনি।

ধর্ষণের ঘটনা নতুন করে প্রকাশ্যে আসার পর তা অস্বীকার করে আসছেন রোনাল্ডো। এখন পর্যন্ত নিজের অবস্থানে অনড় আছেন।

ইতোমধ্যে ক্যাথরিনের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন তিনি। দিয়েছেন একাধিক আইনজীবী নিয়োগ। তারা বাদীপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে লড়ছেন।

রোনালদোর আইনজীবী পিটার ক্রিশ্চিয়ানসেন বলেন, আমরা আর অতীতের ভুল করতে চাই না। কথিত ধর্ষিতাকে আর কোনো অর্থকড়ি দিতে চাই না। আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। দোষ না করলে আমাদের মক্কেল নির্দোষ প্রমাণিত হবেই।

মায়োরগার অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে রোনালদো পরিচয় হয় এক বিখ্যাত নাইটক্লাবে। তখন মায়োরগা ওই নাইটক্লাবে চাকরি করতেন। ২০০৯-এ  রোনালদো সেই সময় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছেন।

সে যাই হোক, একটা সময়ের পর সেই নাইটক্লাবে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। একপর্যায়ে তাঁকে নিজের হোটেলের ঘরে আসার আমন্ত্রণ জানান সিআরসেভেন। আমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েই মহাবিপদে পড়েন মায়োরগা।

দ্য গার্ডিয়ান-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মায়োরগা বলেছেন, `রোনালদো আমাকে ওঁর গোপনাঙ্গ ৩০ সেকেন্ডের জন্য ধরতে বলে। আমি প্রথম হেসে উড়িয়ে দেই। বলি, তুমি নিশ্চয়ই মজা করছ! রোনাল্ডোর যৌন আবেদনে অনেকে মুগ্ধ। কিন্তু তখন ওঁর ভিতরে থাকা নোংরা মানুষটার পরিচয় পাই।

মায়োরগা বলেন, ও (রোনালদো) আমাকে অ্যানাল সেক্সের প্রস্তাব দেয়! বিপদ বুঝতে পেরে ছাড়া পাওয়ার আশায় আমি বড়জোর চুম্বনে রাজি হই। কিন্তু সে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আমাকে হোটেল রুমে আটকে রাখে ও। একপর্যায়ে জোর করে আমার সঙ্গে সে বিকৃত যৌনতা শুরু করে।

আমি ওর কাছে অনুরোধ করি। কিন্তু ও তখন কোনও কিছু শোনার মতো অবস্থায় ছিল না। ও যেন মত্ত হয়ে উঠেছিল। নির্যাতনের পরও ও আমাকে রুম থেকে বেরোতে দিচ্ছিল না। শেষে অনেক কষ্টে বেরিয়ে আসি। পরদিন থানায় গিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাই।

অবশ্য এবারই প্রথম নয়। বছর দেড়েক আগে এই ম্যাগাজিন আরও একবার মায়োরগার পক্ষ থেকে রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। সেবারও সে অভিযোগ ধোপে টেকেনি। আবারও সেই একই অভিযোগ তোলায় রোনালদোর আইনজীবী ম্যাগাজিনের বিপক্ষে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরো খবর

রোনালদোর ধর্ষণ: সেদিন কী হয়েছিল, জানালেন মার্কিন তরুণী

 

/ এআর /