সামাজিক বিভিন্ন সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার
সামাজিক অনেক সূচকেই প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেতৃত্বের সারিতে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) পূর্বভাস অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আসবে ৭.৫ শতাংশ, এর বিপরীতে ভারতের আসবে ৭.৩ শতাংশ। আগের অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল (বিবিএসের হিসাবে) ৭.২৮ শতাংশ, যেখানে ভারতের প্রবৃদ্ধি ৭.১ শতাংশ।
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ও ভারতের চেয়ে তিন গুণ গতিতে বাড়ছে। ইউএনসিটিএডির তথ্য অনুযায়ী ২০১৩-১৬ সময়ে ভারতের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৩.৮ শতাংশ যেখানে বাংলাদেশের বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। কিছু হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশ যদি আগামী দুই বছর জিএনআই এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি সমানতালে এগিয়ে নিতে পারে তবে ২০২০ সাল নাগাদ মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এ সাফল্যের অন্যতম কারণ ক্ষুদ্র ঋণব্যবস্থা, যা আশির দশকে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি মডেল। তখন থেকেই সরকার নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে আসছিল।
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) অর্থনীতিবিদ ও সিনিয়র ফেলো জয়শ্রী সেনগুপ্তা বলেন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ এবং প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের ওপর ভীত রচনা করেই জোরালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে বাংলাদেশ।
সামাজিক অনেক সূচকেও ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বিশেষ করে প্রত্যাশিত গড় আয়ু, শিশু মৃত্যুর হার ও লিঙ্গসমতা। এসব ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ‘ল্যানসেটে’ প্রকাশিত ‘মানবসম্পদ’ সূচকে ভারতের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৯৫ দেশের ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অগ্রগতি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৭, যেখানে ভারতে প্রতি হাজারে ৩২। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭২.৫৮ বছর। অন্যদিকে ভারতে গড় আয়ু ৬৮.৮ বছর।
সূত্র-দ্য প্রিন্ট
আরকে//