ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

৮ হাজার টাকা মজুরি দিতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে পোশাক মালিকদের

প্রকাশিত : ০৮:২৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত সে মজুরি দিতে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

সোমবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে ‘পোশাক শিল্পের ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ও মঈনুদ্দিন আহমেদ।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি মালিক শ্রমিক সব পক্ষ মেনে নিয়েছে। কিন্তু কিছু শ্রমিক নেতা, এনজিও ও দুষ্কৃতিকারী বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন’ নামের একটি সংগঠন বিভিন্ন ভুল তথ্য সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, ২০১০-১৮ সাল পর্যন্ত পোশাক শিল্পের মজুরি বৃদ্ধির হার ৩৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তারপরও তথা কথিত শ্রমিক নেতারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ খাতকে অস্থির করার পায়তারা করছে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কারখানা সংস্কার, মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ২০১৪-১৮ সাল চার বছরে প্রায় ১২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের আশঙ্কা ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে জানান পোশাক মালিকদের এ নেতা।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয় ৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেসিক ৪ হাজার ১০০ টাকা; বাড়ি ভাড়া ২০৫০ টাকা; চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা; যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা; খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা। এদিকে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করেছিল সরকার। সেই হারেই এখন বেতন পাচ্ছিলেন পোশাক শ্রমিকরা।

আরকে//