এবার জেরুজালেমে অস্ট্রলিয়ার দূতাবাস?
প্রকাশিত : ০৭:৪৭ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন, ইসরায়েলের তেল আভিভ থেকে দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে ৷
বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দা পেতে এমনটা বলছেন প্রধানমন্ত্রী৷
মঙ্গলবার, হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, ‘আমরা দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অঙ্গীকারাবদ্ধ ৷ স্পষ্টভাবে বললে বলতে হয়, বিষয়টি সেভাবে এগোচ্ছে না ৷
এক্ষেত্রে অনেক বেশি অগ্রগতি হয়নি ৷ আপনি দিনের পর দিন একই রকম চেষ্টা চালিয়ে ভিন্ন ফল আশা করতে পারেন না ৷
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি ৷ তিনি মনে করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার এ ব্যাপারে আরও ভাবা উচিত ৷ আমি এক্ষেত্রে খোলামনের এবং আমাদের সরকারও এ ব্যাপারে খোলামন নিয়ে ভাবছে ৷
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু টুইটারে অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য নীতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি তিনি খুব কৃতজ্ঞ বলেও জানান তিনি ৷
গত বছরের শেষ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন ৷ এরপর চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয় ৷ এরপর প্যারাগুয়ে ও গুয়াতেমালাও দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ৷ কিন্তু পরবর্তীতে প্যারাগুয়ে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে৷
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মন্তব্যের আগে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি ৷ ইসরায়েলে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেভ শর্মা এই প্রস্তাব করেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী মরিসন ৷
উল্লেখ্য, মরিসনের দলের প্রার্থী হয়ে সিডনির এক আসনে উপ-নির্বাচনে লড়ছেন শর্মা ৷ শনিবারের এই নির্বাচন মরিসনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ শর্মা যদি জিততে না পারেন তাহলে মরিসনের দল সংসদে এক-আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে ৷
সিডনির ঐ আসনে বহু ইহুদির বসবাস ৷ তাঁদের ভোট পেতে মরিসন জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের কথা ভাবছেন বলে সমালোচনা করেছে বিরোধী দল৷ ‘স্কট মরিসন এখন তাঁর চাকরি বাঁচাতে এতই মরিয়া যে, সামান্য কিছু ভোট পাওয়ার জন্য তিনি যা খুশি বলছেন ৷ এমনকি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থের কথাও তিনি ভাবছেন না, বলেন বিরোধী দলের মুখপাত্র পেনি ওং ৷
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দূতাবাস সরানো বিষয়ক মন্তব্যের পর ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করতে পারে ৷
দেশে ও বিদেশে এমন প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে মরিসন সংসদকে জানিয়েছেন, দূতাবাস সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন৷ (সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে)
কেআই/এসি