পাগলা মসজিদের সিন্দুকে এবার ১০ বস্তা টাকা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০৭ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৬:৩৮ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার
তিন মাস ৬ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানের টাকা জমা হওয়ার সিন্দুক।
গত শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় দান সিন্দুক খুলে ১০টি বস্তার সম্পূর্ণ টাকা ও স্বর্ণালংকার বস্তায় ভরা হয়।
জেলা প্রশাসনের সার্বিক দায়িত্বে টাকাগুলো গণনা করার কাজ শুরু হয়েছে। টাকা গণনা শেষে মোট টাকার ও স্বর্ণালংকারের হিসাব জানা যাবে বলে জানিয়েছেন গননাকাজে কর্মরত দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
সকালে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। প্রতিবারেই সিন্দুক খুললে প্রায় ১ কোটির মতো টাকা পাওয়া যায়।
সর্বশেষ গত ৭ জুলাই ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তবে, এবার আরও বেশি টাকা পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান করছেন কর্মকর্তারা।
সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ জানান, “ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সের ৫টি সিন্দুক খোলা হয়েছে। ১০টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো গণনা করার কাজ শুরু হয়েছে”।
রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহায়তায় টাকাগুলো গণনা শুরু হয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নাজির হোসেন, খোদাদাদ, মীর তমাল এবং সাগুফতা হক।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদটির অবস্থান। এ মসজিদে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটি। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে।
এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।