ইলা মিত্রর বাড়ি দখলের পর ধ্বংস (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
তে-ভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি নেত্রী নাচোলের ইলামিত্রের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী হয়েও কৃষকের জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্মৃতি রক্ষায় এখনও নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। এমন কি তাঁর স্বামী রমেন মিত্রের পৈত্রিক বাড়িটিও দখল করে ধ্বংস করা হয়েছে।
ইলা মিত্রের জন্ম ১৯২৫ সালে, কলকাতায়। আদি নিবাস তৎকালীন যশোরের ঝিনাইদহের বাগুটিয়া গ্রামে। বাবার চাকরির সুবাদে কলকাতায় থাকতেন তারা। তিনিই প্রথম বাঙালি মেয়ে যিনি ১৯৪০ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হন।
বেথুন কলেজে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেন তিনি। মাত্র ১৮ বছর বয়সে লাভ করেন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ। ১৯৪৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর গ্রামের জমিদার পরিবারের সন্তান কমিউনিস্ট পার্টির মালদা জেলা সম্পাদক রমেন মিত্রর সাথে বিয়ে হয় তার।
স্বামীর অনুপ্রেরণাতেই ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর নবাবগঞ্জ অঞ্চলে তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। সাঁওতাল কৃষকদের কাছে হয়ে ওঠেন রানীমা। নাচোলে কৃষকদের সংগঠিত করে তে-ভাগা আন্দোলনের কৃষক বিদ্রোাহের কারণে পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার হন তিনি। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে নাচোলের কেন্দুয়া গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে এর করুন দশা। অর্থাভাবে মুখ থুবরে পরে আছে স্মৃতি পাঠাগার ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র ।
বন্ধ হয়ে যাওয়া ইলামিত্র স্মৃতি পাঠাগার ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলছে প্রশাসন।
সিংক
ইলা মিত্র-রমেন মিত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রশাসনিক জরুরী উদ্যোগের দাবী এলাকাবাসীর।